শর্ট স্ট্রিটে জমিযুদ্ধ, গুরুত্বপূর্ণ নথি ২৪ ঘণ্টার হাতে, ২০১০ থেকে জমি নিয়ে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পু

শর্ট স্ট্রিটে জমিযুদ্ধ, গুরুত্বপূর্ণ নথি ২৪ ঘণ্টার হাতে, ২০১০ থেকে জমি নিয়ে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিস

শর্ট স্ট্রিটে জমিযুদ্ধ, গুরুত্বপূর্ণ নথি ২৪ ঘণ্টার হাতে, ২০১০ থেকে জমি নিয়ে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিস ৯ এ শর্ট স্ট্রিট। যত দিন যাচ্ছে, ততই সামনে আসছে জমি দখলকে কেন্দ্র করে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই জমির যে দলিল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস, তা এসেছে ২৪ ঘণ্টার হাতে। ওই দলিলের ভিত্তিতেই পুলিস পরাগ মজমুদার এবং রাজেশ দামানিকে গ্রেফতার করেছে। সঞ্জয় সুরেখাকে জমি বিক্রি করেছিল এরাই। দলিল থেকে জানা যাচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এই দলিলকে হাতিয়ার করেই তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিস। কীভাবে জমির হাতবদল হয়, তাতেও মিলছে নিত্যনতুন অনেক তথ্য। মুম্বইয়ের হার্টলাইন সংস্থার আদতে কোনও অস্তিত্ব নেই। এই সব কটি সংস্থাই পরাগ মজমুদার বেনামে চালাতেন বলে খবর।

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে হওয়া ওই চুক্তিপত্র অনুসারে চুক্তি হয়েছে হার্টলাইন এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার রাজেশ দামানির সঙ্গে সঞ্জয় সুরেখার । তাতে মধ্যস্থতার কাজ করেছেন রিটম্যান কমার্সিয়াল প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার পরাগ মজুমদার  এবং সিজি ফ্ল্যাট হোল্ডারস প্রাইভেট লিমিটেডের অজয় মোদী ।

এই চুক্তিপত্র অনুসারে দেখা যাচ্ছে, এই জমি সংক্রান্ত যদি কোনও সমস্যা হয়, তবে তার যাবতীয় দায়িত্ব, হার্টলাইন এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের। সমস্ত টাকা সুদসহ, ক্ষতিপূরণ সহ এবং অন্যান্য খরচ সহ তারা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন। ওই চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে, এই জমির মূল্য বাবদ সেই সময় চার কোটি টাকা করে দুটি দলিল অনুসারে মোট আট কোটি টাকা দিয়েছিলেন ক্রেতা সঞ্জয় সুরেখা।

জমির মালিক হিসেবে সই করেছেন রাজেশ দামানি। মধ্যস্থকারী হিসেবে সই রয়েছে পরাগ মজুমদার এবং অজয় মোদীর। চুক্তিপত্রের সঙ্গে রয়েছে জমির নকশাও। যেখানে দেখানো হয়েছে শর্ট স্ট্রিটের ওপর এই ১৭ কাঠা ১২ ছটাক ৩৫ স্কোয়্যার ফুটের জমির কোথায় কী রয়েছে।

First Published: Saturday, November 23, 2013, 10:50


comments powered by Disqus