Last Updated: February 10, 2012 20:01

নির্বাচনী বিধি ভেঙে উত্তরপ্রদেশের ভোটপ্রচারে মুসলিম সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় গতকালই নির্বাচন কমিশন ভর্ত্সনা করেছিল তাঁকে। কিন্তু তাতে না দমে আইন ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবার নিজের বক্তব্যে টেনে আনলেন বিতর্কিত বাটলা হাউস এনকাউন্টার প্রসঙ্গ। পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আজমগড়ে শেষ বেলার ভোটপ্রচারে এসে সলমন খুরশিদ বলেন, ২০০৮ সালে দিল্লির বাটলা হাউসে পুলিসের গুলিতে মৃত মুসলিম যুবকদের ছবি দেখে চোখের জল সামলাতে পারেননি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। উত্তরপ্রদেশে ভোটপর্ব চলাকালীন খুরশিদের এই মন্তব্যের ফলে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্য বিজেপি`র তরফে খুরশিদের মন্তব্য হাতিয়ার করে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে `ইসলামি সন্ত্রাস`-এর প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
২০০৮-সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির জামিয়া নগরের বাটলা হাউসে সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন ও সিমি জঙ্গিদের খোঁজে হানা দেয় দিল্লি পুলিসের একটি দল। পুলিসের গুলিতে মারা যায় আতিফ আমিন ও মহম্মদ সাজিদ নামে আজমগড়ের দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। আটক হয় দু`জন। অন্য দিকে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে শহিদ হন দিল্লি পুলিসের ইন্সপেক্টর মোহনচাঁদ শর্মা। সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি-সহ কয়েক`টি রাজনৈতিক দল ঘটনার পরই এই এনকাউন্টার-এর সত্যতা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। সম্প্রতি একই সন্দেহের সুর শোনা গিয়েছিল এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং-এর মুখেও। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম বাটলা হাউসে ভুয়ো পুলিসি সংঘর্ষের অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন। খুরশিদের বক্তব্য চার বছরের পুরনো সেই বিতর্কটাকেই নতুন করে উসকে দিল।
First Published: Friday, February 10, 2012, 20:01