পাঁচটি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা ২ সেপ্টেম্বর

পাঁচটি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা ২ সেপ্টেম্বর

পাঁচটি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা ২ সেপ্টেম্বর অবশেষে কাটল এসএসসি নিয়ে ধোঁয়াশা। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পুনরায় এসএসসির পরীক্ষা হবে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। গতকালের বক্তব্য থেকে সম্পূর্ণ সরে এসে তিনি বলেন, কোনও অঞ্চল ধরে নয়। শুধুমাত্র পাঁচটি কেন্দ্রেই নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশন এখনও অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব থেকে সরতে নারাজ।

রবিবারই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, নদার্ন এবং ইর্স্টান রিজিওনে কয়েকটি বিষয়ে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে।  নির্দিষ্ট কেন্দ্র ধরে পরীক্ষার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন যে পাঁচটি কেন্দ্রেই পরীক্ষা হবে। চুঁচুড়া দেশবন্ধু মেমোরিয়াল হাইস্কুল, রসুলপুর ভি এম হাইস্কুল, রাইপুর কোশিয়াড়া হাইস্কুল, বাগনান আদর্শ স্কুল এবং মালদহ উইমেন্স কলেজে বিভ্রাটের জন্য ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।  তবে এবার তাঁর যুক্তি পাঁচটি কেন্দ্রে পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনও আইনি জটিলতা নেই। 
 
কিন্তু কী কারণে এতবড় ঘটনা ঘটে গেল সে বিষয়ে অর্ন্তঘাতের তত্ত্বকে এখনও ঢাল করছে কমিশন। পয়লা অগস্ট সব রিজিওনের চেয়ারম্যানদের রিপোর্ট নিয়ে বৈঠক করে নিজেরাই তদন্ত শুরু করবে কমিশন। তবে তার আগে এই অর্ন্তঘাতের সপক্ষে প্রমাণ দিয়ে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে কমিশন। এসএসসি পরীক্ষায় বিভ্রাটের জেরে রিপোর্ট তলব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এসএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে রাজ্য জুড়ে গতকাল চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় পরীক্ষার্থীরা। ঠিক সময়ে প্রশ্নপত্র না পৌঁছনোয় মালদা, হুগলি এবং বর্ধমানের দু`টি সেন্টারে পরীক্ষায় হয়নি। কোথাও আবার পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা দেখেন, সেখানে তাঁদের সিট পড়েনি। কোথাও আবার পরীক্ষার্থীর তুলনায় কম পৌঁছয় প্রশ্নপত্র। এসবের জেরে বর্ধমানে নামাতে হয় র‌্যাফ। এদিকে পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবিটা ধরে পড়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান এবং শিক্ষামন্ত্রীর পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে।

First Published: Monday, July 30, 2012, 21:00


comments powered by Disqus