Last Updated: May 21, 2014 09:00

গত তিন বছরে রাজ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। ধর্ষণ, ইভটিজিংয়ের পাশাপাশি বাড়েছে নারী নির্যাতন। নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রকের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে পশ্চিবঙ্গের নাম। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তড়িঘড়ি নারী নির্যাতন বিরোধী টাস্ক ফোর্স গঠন করল রাজ্য সরকার।
এবার রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের প্রচারের অন্যতম বিষয় ছিল নারী নির্যাতন। গত তিন বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। ধর্ষণ, ইভটিজিয়ের পাশাপাশি বেড়েছে নারী পাচার। মেয়েদের উপর অত্যাচারের নিরিখে দেশে প্রথ সারিতে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। নারী নির্যাতন বন্ধ করতে এবার টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
নতুন টাস্কফোর্সে থাকবেন রাজ্য এবং কলকাতা পুলিসের দুজন প্রতিনিধি। এছাড়া থাকবেন স্বরাষ্ট্র দফতরে একজন প্রতিনিধি। টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন সিআইডির স্পেশাল আইজি দময়ন্তী সেন। থাকবেন অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার সোমেন মিত্র, এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব জিডি সরকার।
টাস্ক ফোর্স গঠনের মূল লক্ষ্য, ধর্ষিতা ,অত্যাচারিত মেয়েদের উদ্ধার করা। তাঁদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা, এবং পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়া। ধর্ষণ, ইভটিজিংয়ের পাশাপাশি এরাজ্যে নারী পাচারের ঘটনাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। বিষেশ করে সীমান্তর্তী অঞ্চলে নারী পাচারের ঘটনা যে ভাবে বেড়ে চলেছে তাতে উদ্বিগ্ন স্বরাষ্ট্র দফতর।
নারী পাচারের ক্ষেত্রে থ্রি আর প্লাস I পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধানের কথা ভাবা হয়েছে। থ্রি আর- অর্থাত্ রেসকিউ বা উদ্ধার, বিকভারি বা পুলরুদ্ধার, রিপ্যাট্রিয়েশন বা প্রত্যার্পন। এবং আই অর্থাত্ ইন্টিগ্রেশন বা একীকরণ।
3R PLUS - পদ্ধতিতে পাচার হওয়া মেয়েদের উদ্ধার করে ঘরে ফেরানোই মূল লক্ষ্য সরকারের।
First Published: Wednesday, May 21, 2014, 09:00