রাজ্য সরকারের জমিনীতি নিয়ে বিতর্ক

রাজ্য সরকারের জমিনীতি নিয়ে বিতর্ক

রাজ্য সরকারের জমিনীতি নিয়ে বিতর্কদালাল চক্রের দাপটে কাটোয়ায় তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য সরাসরি জমি কেনার ব্যাপারে আশঙ্কায় এনটিপিসি। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, শিল্পের জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করবে না। শিল্প স্থাপনে আগ্রহী সংস্থাকেই বাজার থেকে জমি কিনতে হবে।

শিল্পের জন্য সরাসরি জমি কিনতে হবে বিনিয়োগকারীকেই। রাজ্যসরকারের এই জমি নীতির শুরু থেকেই আশঙ্কায় ছিল শিল্পমহল এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাদের মতে, এই পন্থায় এক লপ্তে বড় জমি নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে।

রাজ্যে জমি ছোট ছোট জোতে বিভক্ত। তাই অসংখ্য জমির মালিকের কাছ থেকেসরাসরি জমি কেনা সময় সাপেক্ষ। কোনও জমির মালিক জমি দিতে না চাইলে প্রকল্প রূপায়ণে তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। জমির মালিক পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে ইচ্ছেমত দাম চাইতে পারে।

সরকারের মধ্যস্থতকারীর ভূমিকায় না থাকায় দালালদের দৌড়াত্ম্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দালালদের হাত ধরে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। রাজ্যের জমিনীতিকে ঘিরে এই সব আশঙ্কাই এবার সত্যি হল। কাটোয়ায় এনটিপিসির ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্‍প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১০০ একর জমি। আগের সরকারের আমলেই অধিগ্রহণ হয়েছিল ৫৫০ একর। নতুন সরকারের নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাকি প্রায় ৫৫০ একর জমি সরাসরি কিনতে রাজি হয়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। আর তাতেই সরকারি নীতিরগুলির দুর্বলতাগুলি উঠে আসতে শুরু করেছে। প্রকল্প এলাকায় হঠাত্‍ করেই বেড়ে গেছে দালালদের দৌড়াত্ম্য।

জমির দামের ক্ষেত্রেও মালিকদের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এনটিপিসি সেই দাম দিতে আদৌ রাজি থাকবে কিনা সন্দেহ আছে তা নিয়েও। এনটিপিসির এই অভিজ্ঞতাই সরাসরি জমি কেনার রাজ্য সরকারি নীতিকে আরও একবার প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিল। একই সঙ্গে সরকারের জমিনীতি যে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পস্থাপনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেই বার্তাও আরও একবার পৌঁছে দিল দেশের শিল্পমহলের কাছে।

শিল্পের জন্য সরাসরি জমি কিনতে হবে বিনিয়োগকারীকেই। রাজ্যসরকারের এই জমি নীতির শুরু থেকেই আশঙ্কায় ছিল শিল্পমহল এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাদের মতে, এই পন্থায় এক লপ্তে বড় জমি নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে।
 
 






First Published: Tuesday, January 31, 2012, 15:46


comments powered by Disqus