Last Updated: January 19, 2014 22:47

স্কুলছাত্রের রহস্য নিখোঁজের ঘটনায়, মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিসমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বালিগঞ্জের স্থানীয় মানুষ। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হন তাঁরা। শনিবার বিকেলে টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র সুরজিত্ মণ্ডল। তারপর থেকে সে এখনও নিখোঁজ।
প্রতিবাদে আজ বালিগঞ্জের কয়েকশো মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যান। গলিতে ঢোকার মুখে পুলিস তাঁদের আটকে দিলে, তাঁরা সেখানেই বিক্ষোভ দেখান। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল সুরজিতের পরিবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে না পারলেও, তাঁর আপ্তসহায়কের সঙ্গে নিখোঁজ ছাত্রের বাবা ও মায়ের কথা হয়েছে।
দশম শ্রেণীর ছাত্র সুরজিত মণ্ডলের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রহস্য আরও দানা বাঁধছে। গতকাল সন্ধে পৌনে ছটা নাগাদ সুরজিত মাকে ফোন করে তাকে বালিগঞ্জ থানার পিছনের গলিতে মারধরের কথা জানায়। সন্ধে পৌনে সাতটা নাগাদ তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায় ভবানীপুরের বকুলবাগানে চক্রবেড়িয়া হাইস্কুলের কাছে। সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির লোকেরা ফের সুরজিতকে ফোন করেন। সেইসময় ফোনের টাওয়ার লোকেশন জানা যায়নি। আবার, যে ফোনের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গিয়েছিল ভবানীপুরে, সেই ফোনের সিমকার্ডের টুকরো পাওয়া যায় বালিগঞ্জ থানার পিছনে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ।
মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের রহস্য সমাধান করতে পারলেই গোটা ঘটনার জট খুলবে বলে আশাবাদী পুলিস। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাথরুমে যাওয়ার নাম করে শরত বোস রোডের টিউশন ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায় সুরজিত। কিন্তু, তারপর বালিগঞ্জ থানার পিছনের দেওয়ালে রক্তের দাগ, সুরজিতের রক্তমাখা জামা উদ্ধারের পর গোটা বিষয়টিকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। রক্ত পরীক্ষার পর পুলিসের হোমিসাইড শাখা মনে করছে এটি খুনের ঘটনা নয়। ফলে, বালিগঞ্জ থানাই তদন্ত করছে।
সুরজিতের বাড়ির লোকেরা তাঁদের প্রতিবেশী একাদশ শ্রেণীর ছাত্র শুভাশিস মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। যদিও, শুভাশিস জানিয়েছে, ঘটনার সময় সে ডায়মন্ডহারবারে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। পুলিসও তাঁর কথায় প্রাথমিকভাবে কোনও অসঙ্গতি পায়নি। পুলিস অপহরণ ও খুনের হুমকির অভিযোগে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও, নিখোঁজ ছাত্রের হদিশ না মেলা ও এখনও কেউ ধরা না পড়ায় ক্ষুব্ধ পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে আজ সকালে বালিগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
First Published: Sunday, January 19, 2014, 22:50