Last Updated: April 16, 2013 15:51

শিলিগুড়ি কাণ্ডে গ্রেফতার অসুস্থ ছাত্রনেতা সন্তোষ সাহানিকে পায়ে বেড়ি পরিয়ে রাখার ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে পরে সন্তোষের পায়ে বেড়ি খুলে নেওয়া হয়। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ওই অবস্থা থেকে ছাত্রকে মুক্ত করা না হলে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছ ছিলেন মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর।
পদার্থ বিদ্যার তরুণ গবেষক। কলকাতার বেশ কয়েকটি কলেজে অধ্যাপনার কাজও করেছেন। শিলিগুড়ির দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা আটাশ বছরের সুদীপ দত্ত এখন পুলিসের খাতায় বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে শিলিগুড়ি সংশোধনাগারে বন্দি। গত দশই এপ্রিল সিপিআইএম জেলা কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনের সামনে থেকে বাম সমর্থক এই তরুণ গবেষককে গ্রেফতার করে পুলিস। সুদীপের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর বাবা মা ও বৃদ্ধা ঠাকুমা। বাড়ির একমাত্র সন্তানের চিন্তায় তিনি প্রায় শয্যাশায়ী। উদ্বেগ উত্কন্ঠায় রয়েছে গোটা পরিবার।
যে ছেলের সঙ্গে কারুর কোনদিন ঝামেলা হয়েনি আজ তাকেই গুরুতর অভিযোগে জেলে দিন কাটাতে হচ্ছে তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন সুদীপের পরিবার। শোকে ভেঙে পড়া মায়ের একটাই প্রশ্ন কোন অপরাধের সাজা ভোগ করতে হচ্ছে তার একমাত্র ছেলেকে। সেদিন সিপিআইএম কার্যালয় থেকে গ্রেফতার হওয়া ৫১ জনের অনেকের মতোই ছেলের অপরাধ অজানা তাঁর পরিবারে। তাই আপাতত গভীর উত্কন্ঠায় ১৮ তারিখের শুনানির দিকেই তাকিয়ে আছেন এই তরুণ গবেষকের পরিবার।
First Published: Tuesday, April 16, 2013, 15:51