Last Updated: September 6, 2013 22:32

এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক বললেন হাইকেোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় এই ঘটনার তদন্তের জন্য নতুন করে ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ফের জোরালো হয়েছে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর পর ওঠা বেশকয়েকটি প্রশ্ন।
আইন অমান্য আন্দোলনে গিয়ে পুলিসি হেফাজতে মৃত্যু হয় সুদীপ্ত গুপ্তর। নজিরবিহীনভাবে মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশে এই ঘটনায় কলকাতা পুলিস আলাদা করে তদন্ত করে। মানবাধিকার কমিশনও নিজেও তদন্ত করে। পুলিস সতর্ক থাকলে এবং পেশাদারিত্ব নিয়ে তদন্ত শেষে মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ ছিল, ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সুদীপ্ত গুপ্তর পরিবারকে।
মানবাধিকার কমিশন মনে করে পুলিসি গাফিলতিতেই সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যু হয়। যদিও ইতিমধ্যেই ছেলের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা করেছিলেন সুদীপ্ত গুপ্তর বাবা। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, "এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এইরকম ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য সতর্ক হতে হবে।"
ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি। সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর পর যে প্রশ্নগুলি উঠেছিল তা আরও জোরালো হয়েছে। ল্যাম্পপোস্টের ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতায় ধাক্কা লাগে সুদীপ্ত গুপ্তর। কিন্তু ছাত্রনেতার উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ফুটবোর্ডে দাঁড়ালেও এই উচ্চতায় ধাক্কা লাগা সম্ভব নয়।
যে লাইটপোস্টে ধাক্কা লেগেছে সেখান থেকে প্রেসিডেন্সি জেলের মূল ফটকের দূরত্ব ২৫০ ফিটের মধ্যে। বাসের গতিও স্বাভাবিকভাবে ছিল কম। ফলে এত জোরে ধাক্কা লেগে মৃত্যু সম্ভব নয়।
রাস্তা যা চওড়া তাতে উল্টোদিকে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও বাস কখনও অত বাদিক ঘষে যেতে পারে না। সুদীপ্ত গুপ্তর মুখের ডানদিকে আঘাত লেগেছিল। সে ক্ষেত্রে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলে বাদিকে আঘাত লাগার কথা। বাইরে থেকে জোর করে টেনে ধরলে, বা ভিতর থেকে ধাক্কা দিলে তবেই এত জোরে আঘাত লাগা সম্ভব। ম্যজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলে এই প্রশ্নেরই কী উত্তর খুজতে চাইছে আদালত।
First Published: Friday, September 6, 2013, 22:32