নদীবাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা সুন্দরবনে

নদীবাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা সুন্দরবনে

নদীবাঁধ ভাঙ্গার  আশঙ্কা সুন্দরবনেপ্রতিবছরের মত এবারও ভরা কোটালে নদীবাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় রয়েছেন সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। সুন্দরবনের কমপক্ষে এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার নদীবাঁধের অবস্থা শোচনীয়। মহালয়ার দিন শুরু হবে ষাঁড়াষাঁড়ি কোটাল। বাঁধ মেরামতির কাজ সেভাবে না হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।

ইতিমধ্যেই নামখানা, মুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কিছু জায়গায় ভরা কোটালে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সামনেই  ষাঁড়াষাঁড়ি কোটালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলেই মনে করছেন গ্রামবাসীরা।  সুন্দরবনের সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপের অধিকাংশ মানুষের বসবাস দ্বীপে। মুড়িগঙ্গা, সপ্তমুখী, কার্জন ক্রিক, হুগলি নদীর দ্বারা জলবেষ্টিত এই দ্বীপগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের বাস।   মুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নাদাভাঙা গ্রাম। ইতিমধ্যেই ভরা কোটালে পুরনো বাঁধের ভাঙা জায়গা দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জোয়ারের জলে ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি। নোনা জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষের জমিও। নামখানার নারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাঁধ ভেঙেছে প্রায় পঞ্চাশ মিটার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিডিও, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বারবার জানিয়েও বাঁধ মেরামতির কোনও পাকাপাকি ব্যবস্থা হয়নি। একশ দিনের আওতায় বাঁধ মেরামতির কাজ যে সেভাবে শুরু হয়েনি। একথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন নারায়ণপুরের পঞ্চায়েত প্রধান চন্দ্রকান্ত পাইক।
 

 

 





First Published: Thursday, September 20, 2012, 11:33


comments powered by Disqus