সানি কাহিনি

সানি কাহিনি

সানি কাহিনি `বিগ বস ৫` -এর অন্যতম হাউসমেট। আর তারপরই একেবারে মহেশ ভাট ক্যাম্পের `জিসম ২` দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। টিনসেল টাউনে এমন স্বপ্নের পদার্পণ তারকা পুত্র-কন্যাদের ভাগ্যেও জোটে কিনা সন্দেহ। আর তাই পর্নস্টার থেকে বলিউড বেব-এ উত্তরণ হওয়া সানি লিওন এখন অনেকেরই চক্ষুশূল। কিন্তু বলিউডে আসার আগে কেমন ছিল সানির জীবন? কেমন ছিল পর্নফিল্মে তাঁর দীর্ঘ যাত্রাপথ? ক্যামেরার পিছনেই বা কেমন ছিল তাঁর জীবন যাত্রা? সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় বিনোদন ওয়েবসাইটে নিজের জীবনের সেই গল্পই শুনিয়েছেন সানি। কীভাবে কারেন মালহোত্রা থেকে সানি লিওন হয়ে উঠলেন এই ইন্দো-কানাডিয়ান পর্নস্টার।

নিতান্তই কিশোরী বয়সে প্রথম পর্ন ফিল্মের ডিভিডি দেখেছিলেন সানি। কিন্তু, চালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কানাডার রক্ষণশীল পাঞ্জাবি বাড়িতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ডিভিডিটি সযত্নে লুকিয়ে ফেলেন তক্ষুনি। প্রথম অভিজ্ঞতার বেশ কয়েক বছর পর ১৯ বছর বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে আবার পর্ন ফিল্ম দেখেন সানি। সেই অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে সানি বলেছেন, `একটি ঘরের মধ্যে একদল নগ্ন ছেলেমেয়ের একসঙ্গে দৌড়দৌড়ি করার মজাই আলাদা। ইট ওয়াজ কুল`!

সেইসময়ই নিজের হাতখরচ চালাতে একটি বেকারিতে কাজ করতে শুরু করেন সানি। কাজ করেন একটি ট্যাক্স অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট ফার্মেও। এরপর পরিবারের সঙ্গে আমেরিকা পাড়ি দেন তিনি। ২ বছর কলেজে পড়ার পর ২০০৩ সালে নির্বাচিত হন পেন্টহাউস পেট অফ দ্য ইয়ার। প্রচুর মডেলিংয়ের অফার আসতে থাকে সানির ঝুলিতে। তার মধ্যেই হঠাত্ই এক এজেন্টের মাধ্যমে পর্ন ফিল্মের অফার পান সানি। রাতারাতি বদলে যায় জীবন। সানি কাহিনি
প্রচুর অর্থের হাতছানি সানির জীবেন সূচনা করে এক নতুন অধ্যায়ের। প্রথম দিকে লাগাতার সহবাস তাঁকে কিছুটা অস্বস্তিতে রাখলেও ধীরে ধীরে কারেন থেকে নাম বদলে সানি হয়ে ওঠেন তিনি। পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের প্রাক্তন সম্পাদকের কথামতো মালহোত্রা সরিয়ে নামের পিছনে লিওন পদবী জোড়েন।

সচেতন ভাবে এই পেশাকে বেছে নেওয়া সানি দুনিয়ার পরোয়া কোনদিনই করেননি। চিন্তা শুধু ছিল মা-বাবাকে নিয়ে। বাড়িতে জানানোর পর প্রথমে মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। কিন্তু কোনওদিনই মেয়েকে ত্যাগ করেননি। এমনকী তাঁর সঙ্গে যোগযোগও বন্ধ করেননি। কিছুদিন পর সানির সিদ্ধান্ত মেনে নেন তাঁরা। তবে নিজের আমেরিকার বাড়িতে নিজের একটিও ডিভিডি রাখেননি সানি। তাঁর বাড়িতে গেলে কেউ বুঝতেই পারবেন না তাঁর জীবনধারণের উপায়।

First Published: Saturday, August 25, 2012, 16:22


comments powered by Disqus