Last Updated: February 25, 2014 12:19

এদেশে ইচ্ছামৃত্যুর (ইউথেনেশিয়া) অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পাঁচ সদস্যের সংসদীয় বেঞ্চ। বহুদিন ধরে সুস্থ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছাড়া যারা বহুদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ বা প্রায় জড় পদার্থের মত বেঁচে আছেন যারা, তাদের মৃত্যুর ইচ্ছা স্বীকৃতি পাবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এই সংসদীয় বেঞ্চ।
আজ ভারতের প্রধান বিচারপতি পি সাথশিবমের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ জানিয়েছে `` ইচ্ছামৃত্যুর অধিকারের প্রশ্নটি আইন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। মানবিকতার সুবিধার্থে বিষয়টি আমরা সংসদীয় বেঞ্চের উপর ছেড়ে দিয়েছি।``
`কমন কজ` নামের একটি এনজিও কিছুদিন আগে ইচ্ছামৃত্যুর অধিকারের দাবিতে শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেছিল।এই এনজিও-র তরফ থেকে কমল জয়সওয়ালের মতে ``সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার স্বাধীনতার অধিকারেরই অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ।`` এই বিষয়ে পিটিশন দেওয়ার সময় মার্কিন যুক্ররাষ্ট্রের `Patient Autonomy and Self-determination Act` এর উল্লেখ করে এনজিও-টি। এই অ্যাক্ট পরিস্থিতি বিশেষে ইচ্ছামৃত্যুর স্বীকৃতি দেয়।
কেন্দ্রের তরফ থেকে ইচ্ছামৃত্যুর অধিকারের বিরোধিতা করা হয়। কেন্দ্রের তরফ থেকে যুক্তি দেওয়া হয় এই অধিকার কার্যকরী হলে দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। এর সঙ্গেই কেন্দ্র দাবি করে। আর কৃত্রিমভাবে জীবনদায়ী ব্যবস্থার অধীনে যাঁরা থাকেন সেই ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁদের নিজের হয় না। সেই সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তাররাই। ``ডাক্তারের কর্তব্য জীবন নেওয়া নয়, তাকে রক্ষা করা।`` সরকার এর সঙ্গেই যোগ করে বলেছেন বিচারব্যবস্থা নয় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ কার্যনির্বাহী সদস্যদের।
First Published: Tuesday, February 25, 2014, 12:19