Last Updated: July 3, 2012 11:53

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকারি উদ্যোগে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে শুরু হয়েছে নজরদারি। রয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। যদিও, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন বাজারদরে কোনও পরিবর্তন হয়নি। গত কয়েকদিনের মতো আজও শাক-সব্জি থেকে ফলমূল - সবই অগ্নিমূল্য। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে সরকারি প্রচেষ্টা শুরু হলেও এক-দু`দিনের মধ্যে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সোমবার মহাকরণে ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের ১২টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে বামেরা সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানালেও মুখ্যমন্ত্রী তা খারিজ করে দেন। পাশাপাশি বাজারদরের ওপর নজর রাখতে ১১ সদস্যের টাস্ক ফোর্স তৈরির কথা জানান তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার থেকে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চালানো হবে।
সেই মতো নজরদারি শুরু হলেও জিনিসপত্রের লাগামছাড়া দামে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ একটুও কমেনি। উত্তরে হাতিবাগান থেকে দক্ষিণে ল্যান্সডাউন। আজ সকালে শহর কলকাতার বিভিন্ন বাজারে উপস্থিত ছিলেন চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধিরা। সব জায়গাতেই ক্রেতা-বিক্রেতারা জিনিসপত্রের দাম বাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোলে মার্কেটের মতো পাইকারি বাজারে আলু ও সব্জি দাম অপেক্ষাকৃত কম হলেও খুচরো বাজারে তা কেন চড়া মূল্যে বিকোচ্ছে প্রশ্ন ওঠে তা নিয়েও।

কলকাতা শহরের পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন জেলাতেও বিভিন্ন বাজারে নজরদারি শুরু হয়েছে। আজ সকালে বারাকপুরের নোনাচন্দনপুকুরে দুটি বাজার ঘুরে দেখেন টিটাগড়ের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত ও বারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। সঙ্গে ছিল টিটাগড় থানার পুলিসও। সবজির বাজারদরে রাস টানতে শীঘ্রই জেলাস্তরেও টাস্কফোর্স গড়া হবে বলে জানান বিধায়ক। এরপরও দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান বারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান। ক্রেতাদের বক্তব্য বিভিন্ন বাজারে সব্জির দামের তারতম্য রয়েছে। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, মজুতদার-আড়তদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দাম কমবে না।
First Published: Tuesday, July 3, 2012, 11:53