Last Updated: April 16, 2013 14:03

খানাকুলের পাতুলে গিয়ে আক্রান্ত সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলল বাম প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলকে আক্রান্তরা বলেন, কার্যত অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। শুকনো মুড়ি খেয়ে কোনওমতে খিদে মেটাচ্ছেন তাঁরা।
পাতুলের মানুষের অভিযোগ, গত ছদিন ধরে কার্যত খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে তাঁদের। অথচ প্রশাসনের তরফে একটি ত্রিপল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। গত দশই এপ্রিল কীভাবে তাঁদের বাড়িঘর, ধানের ক্ষেত, সন্তানদের বইখাতা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, প্রতিনিধি দলের কাছে তার বর্ণনা দেন পাতুলের মানুষ।
কান্নায় ভেঙে পড়েন আক্রান্তরা।
পুলিসের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার দীর্ঘক্ষণ পর সেদিন ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। কিছুক্ষণ থেকেই চলে যায়।
এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিস।
তৃণমূল কংগ্রেস বাহিনী তাণ্ডব চালানোর পরও ব্যবস্থা করা হয়নি পুলিসি পাহারার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, উল্টে পুলিস তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাচ্ছে। এমনকি তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ পর্যন্ত করা হচ্ছে। কারও কারও অভিযোগ, জরিমানা করে টাকা নিয়েও রেহাই দিচ্ছে না পুলিস। পাতুলের অধিকাংশ মানুষই নয় তারিখ দিল্লিতে কী ঘটনা ঘটেছিল তার বিন্দুবিসর্গ জানেন না। তাহলে হঠাত্ কেন তাঁদের ওপর এমনভাবে হামলা চালানো হল, সেই প্রশ্নের উত্তরই এখন হাতড়ে বেড়াচ্ছেন পাতুলের মানুষ।
অন্যদিকে, হুগলির মশাটে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রথমে বিরোধী দলনেতার কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। এরপর ধীরে ধীরে তাঁরা এগোন পাইলট কারের দিকে।
একসময় বিক্ষোভকারীরা পৌঁছে যান সূর্যকান্ত মিশ্রর গাড়ির একেবারে সামনে। আওয়াজ তোলেন, গো ব্যাক সূর্যকান্ত মিশ্র। পরিস্থিতি সামলাতে নামে পুলিস।
খবর পেয়ে মশাটের দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন সিপিআইএম কর্মীরাও। উত্তেজনা চরমে ওঠে। শেষে দুপক্ষকেই হঠিয়ে দেয় পুলিস। গত ১০ এপ্রিল খানাকুলের পাতুলে সিপিআইএম কর্মীদের ৪০টিরও বেশি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেসই ওই ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ।
First Published: Tuesday, April 16, 2013, 14:03