Last Updated: February 18, 2014 19:20
রাজ্য সরকার যখন ক্ষুদ্র শিল্পে জোর দেওয়ার কথা বলছে, ঠিক তখন বেহালা পর্ণশ্রীর কাছে বেনটেক কোম্পানিতে ঝুলল তালা। লাগানো হল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস।
ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা, মালিকপক্ষের অসহযোগিতা ও ন্যায্য পাওনার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই একানকার কর্মচারিরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। কারখানায় তৃণমূল পরিচালিত ট্রেড ইউনিয়ন হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ কর্মীদের। মালিকপক্ষের সঙ্গে গোপন আঁতাঁতেরও অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ক্ষুদ্রশিল্পে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু কাজের বেলায় তা যে হচ্ছে না, বেহালা পর্ণশ্রীর কাছে বেনটেক কোম্পানিতে গেলেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
ছাঁটাই, অসহযোগিতা ও ন্যায্য পাওনার দাবিতে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলই। কর্মচারিদের অভিযোগ, তাঁদের দুর্দশা আরও বেড়েছে বছর দুয়েক আগে তৃণমূল পরিচালিত ট্রেড ইউনিয়ন হওয়ার পর থেকে। মালিকপক্ষের সঙ্গে রীতিমতো আঁতাঁতের অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। দু`পক্ষের গোপন বোঝাপড়ার জন্যই তাঁদের সমস্যার সমাধান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে কারখানার গেটে তালা এবং সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলানোর পর কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা ছড়িয়েছে দাবানলের মতো।
কিন্তু অভিযোগ মানতে চাননি ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ। বেনটেকে আগে কাজ করতেন প্রায় দুশো জন কর্মী। তৃণমূল পরিচালিত ট্রেড ইউনিয়ন হওয়ার পর ছিয়াশি জনকে ছাঁটাই করা হয়।
ফলে এখন কর্মীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১০। মালিক ও ইউনিয়নের মধ্যে যোগসাজশের জন্য কর্মীদের মধ্যে আগেই ভাঙন ধরেছিল বলে অভিযোগ এখনকার কর্মীদের। এতত্সত্ত্বেও তাঁরা তৃণমূলের ছাতার তলায় আন্দোলন চালিয়ে যান। বেনটেক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাঁদের আন্দোলনে সংস্থার কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার একেবারে তালা ঝুলিয়ে এখানকার কর্মীদের ভবিষ্যত্ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়ে গেলেন বেনটেক কর্তৃপক্ষ।
First Published: Tuesday, February 18, 2014, 23:08