`মুকুলতন্ত্র`কে উচ্ছেদ করে দুই মেদিনীপুরে শুধু অধিকারীরাজ

`মুকুলতন্ত্র`কে উচ্ছেদ করে দুই মেদিনীপুরে শুধু অধিকারীরাজ

`মুকুলতন্ত্র`কে উচ্ছেদ করে দুই মেদিনীপুরে শুধু অধিকারীরাজ  দুই মেদিনীপুরে লড়াইটা আসলে ছিল তৃণমূল ভার্সেস অধিকারী ফ্যামিলি। দুই মেদিনীপুরে দলকে জিতিয়ে আসলে জিতে গেলেন কাঁথির অধিকারী বাড়ির বাপ-বেটাই। তৃণমূলে একচ্ছত্র মুকুলতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে শুভেন্দু-কাঁটাটা আরও শক্তিশালী হল। 
 
খাতায় কলমে হিসেবটা যেন বোঝানোরই ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। ফল বেরনোর পর দেখা গেল তা হাড়ে হাড়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের যুব সেনাপতি। পূর্ব আর পশ্চিম, দুই মেদিনীপুরেই কায়েম হয়েছে নিরঙ্কুশ শুভেন্দু-রাজ।

একমাত্র এই দুটি জেলা পরিষদেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দল কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই। ভোটের পর তাই শেষ হাসিটা হেসেছেন তমলুকের সাংসদই।
 
রাজ্যে পটবদলের আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদটা দলের ঝুলিতে এনে দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা এসেছে দলের মধ্যে থেকেই। চ্যালেঞ্জটা এসেছে দলের  সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের দিক থেকে। মুকুলবাবুর অনুগামীরাই পূর্ব মেদিনীপুরে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলেই তৃণমূলসূত্রে খবর। সেই অঙ্কেই পূর্ব মেদিনীপুরে একবারের জন্যও ভোটপ্রচারে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়ে শিশির-শুভেন্দুরা বোঝালেন, তৃণমূল মানেই মমতা নয়। বাপ-বেটার দাপটে পায়ের তলায় মাটি পায়নি পূর্ব মেদিনীপুরের নির্দল প্রার্থীরা।
 
শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরেও দলকে অত্যাশ্চর্য সাফল্য এনে দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ। ৬৭টির মধ্যে ৬৪টি আসন নিয়ে জেলা পরিষদের একচ্ছত্র ক্ষমতা পেয়েছে তৃণমূল। দলের অন্দরের খবরটা যাঁরা রাখেন, তাঁরা বলছেন, ক্ষমতাটা আসলে পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম মেদিনীপুরে একটিমাত্র পঞ্চায়েত সমিতি পেয়েছে কংগ্রেস। মানস ভুইঞার সবং। এটা কি কাকতালীয় তৃণমূলের যুব সেনাপতির একচ্ছত্র সাম্রাজ্যে? নাকি ভবিষ্যত সমীকরণের কোনও পূর্বাভাস?
 
 

First Published: Tuesday, July 30, 2013, 06:28


comments powered by Disqus