Last Updated: March 31, 2012 18:48

হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যত অমান্য করল রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতর। একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, নতুন প্রিন্টার-সহ মিটার বসানোর জন্য শনিবারের মধ্যে আবেদন জমা দিতে হবে ট্যক্সির মালিকদের। অন্যথায় ট্যক্সির পারমিট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু শনিবার বেলা সোওয়া দুটো পর্যন্ত আলিপুর মোটর ভেহিকেলস-এ এই আবেদন জমা নেওয়ার জন্য কাউন্টারই খোলা হয়নি। ফলে, ট্যাক্সি চালক ও মালিকরা আবেদন জমা দিতে পারেননি। এই নিয়ে বেলতলা মটোরভেইকেলস অফিসে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ক্ষুব্ধ চালক ও মালিকরা পথ অবরোধও করেন। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে সাময়িকভাবে সমস্যা মেটে।
একত্রিশে মার্চের মধ্যে প্রিন্টার সহ নতুন মিটারের আবেদন করতে হবে ট্যাক্সি চালক ও মালিকদের। দিনকয়েক আগে এই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেইমতো শনিবারই শেষ হচ্ছে আবেদনের সময়সীমা। সেকারণে এদিন সকাল থেকেই বেলতলা ও আলিপুর মোটর ভেহিকেলসে ট্যাক্সি চালকরা আবেদন জানাতে হাজির হন। শেষ দিনে লম্বা লাইনও পড়ে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যত অমান্য করল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। সকাল থেকে কাউন্টার খোলাই হয়নি। ফলে সমস্যায় পড়েন ট্যাক্সি চালক ও মালিকরা। পথ অবরোধও করেন তাঁরা। আবেদনকারীদের অভিযোগ, কাউন্টার বন্ধ রেখে নতুন মিটারের জন্য ঘুষ চাইছেন একশ্রেণির কর্মচারী। মিটারপ্রতি ৩০০ টাকা ঘুষ চাইছেন তারা।
অবশেষে পুলিসের হস্তক্ষেপে দুপুর সোয়া বারোটা থেকে কাউন্টার খুলে আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়। ভিড় সামলাতে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কাউন্টার খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিপুল সংখ্যক আবেদনপত্র জমা নিতে সমস্যা দেখা দেয়।
First Published: Saturday, March 31, 2012, 18:48