Last Updated: January 21, 2013 13:19

ঋণের দায়ে কৃষকের আত্মহত্যা কিংবা বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহণকর্মীর আত্মহত্যার মতো ঘটনা এরাজ্যে নতুন নয়। এবার সেই তালিকায় যোগ হল বৃত্তিমূলক শাখার এক শিক্ষকের আত্মহত্যা। মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে বাঁকুড়ার সিমলাপালের বাসিন্দা ওই শিক্ষক চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন। এর জেরে মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি মৃতের পরিবারের।
সিমলাপাল থানার তিলাবনি গ্রামের বাসিন্দা তপন কুমার সত্পতির শিক্ষকতা জীবন দীর্ঘ সাত বছরের। স্থানীয় গড়রাইপুর বয়েজ হাইস্কুলে বৃত্তিমূলক শাখায় কম্পিউটার শিক্ষক ছিলেন তিনি। মাসিক বেতন ছিল ৭,৮৫০ টাকা। যদিও মাসের পর মাস এই প্রাপ্য টাকার কানাকড়িও পেতেন না বলে অভিযোগ। ২০১২ জুন মাসে শেষবার তপনবাবু বেতন পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। চরম আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছিল গোটা পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, অভাবের তাড়নাই তপনবাবুকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কাউন্সিল বৃত্তিমুলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ- এর অধীনে বাঁকুড়া জেলায় প্রায় ২০০টি হাইস্কুলে বৃত্তিমূলক শাখায় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিমাসে তাঁদের বেতন দেওয়া সরকারি এই বিভাগেরই দায়িত্ব। অথচ কখনই নির্দিষ্ট সময়ে এই শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিষয়টি বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও ফল হচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের। এনিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি কলেজ স্কোয়্যারে বিক্ষোভ-সমাবেশেরও ডাক দিয়েছেন তাঁরা। শীঘ্রই এই বেতন-সমস্যার সুরাহা না হলে আরও অনেক শিক্ষককেই তপনবাবুর পথ বেছে নিতে হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
First Published: Monday, January 21, 2013, 13:19