Last Updated: July 27, 2013 15:13

তেলাঙ্গানা গঠনের সিদ্ধান্তে দলের অন্দরেই টালমাটাল অবস্থা কংগ্রেসের। অন্ধ্রের দলীয় মন্ত্রীরা চিঠি লিখে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে পদত্যাগের কথা জানিয়ছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
পৃথক তেলেঙ্গানা গঠনের সম্ভাবনা অবশেষে জোরাল হয়েছে। কংগ্রেস কোর গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে দিগ্বিজয় সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তেলেঙ্গানা নিয়ে আলোচনা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার। হাইকমান্ডের পৃথক তেলেঙ্গানার পক্ষে এমন ইঙ্গিত মিললেও তাতে খুশি নন অন্ধ্রের বহু কংগ্রেস নেতা। আবার তেলেঙ্গানা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ইথিমধ্যেই গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে সুর চড়িয়েছে মোর্চা।
দিনভর দফায় দফায় বৈঠক। শুক্রবার সকাল থেকেই তেলেঙ্গানা ইস্যুতে সরগরম ছিল রাজধানী। অন্ধ্রপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত দুই কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং এবং গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি। এছাড়াও অন্ধ্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দামোদররাজ নরসিংহা এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বোত্সা সত্যনারায়ণের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন এআইসিসির দুই নেতা। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসে কংগ্রেসের কোর গ্রুপ। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও ছিলেন সুশীল কুমার শিন্ডে, পি চিদম্বরম, এ কে অ্যান্টনি। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিগ্বিজয় সিং।
আগামী ৩১ জুলাই অন্ধ্রে পুরসভা নির্বাচন। সম্ভবত তারপরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। হাইকমান্ড পৃথক তেলেঙ্গানা গঠনের পক্ষে এমন ইঙ্গিত মিললেও, তাতে খুশি নন অন্ধ্রপ্রদেশের বহু কংগ্রেস নেতাই।
তবে অসন্তোষের ছোঁয়া যে শুধু দাক্ষিণাত্ম্যেই এমন নয়। হাইকমান্ডের তেলেঙ্গানা সিদ্ধান্তের আঁচ ছড়িয়ে পড়তে পারে এরাজ্যের উত্তরে, পাহাড়ে। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরির বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট।
পাহাড়ের নজর এখন রাজধানীর দিকে। মোর্চার স্পষ্ট কথা, পৃথক তেলেঙ্গানা হলে, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিও মানতে হবে কেন্দ্রকে। তেলেঙ্গানা ইস্যুতে সামনে রেখে মোর্চা এখন নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
First Published: Saturday, July 27, 2013, 15:13