Last Updated: February 22, 2013 10:53

সন্ত্রাসবাদী হানায় রক্তাক্ত হায়দরাবাদের জনবহুল ও ব্যস্ত এলাকা দিলসুখনগর। এই প্রথম নয়। অতীতেও বার বার জঙ্গি হানায় রক্তে লাল হয়েছে চারমিনারের শহর। প্রতিটি ক্ষেত্রেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে শহরের জনবহুল এলাকাকে। আঘাত হানা হয়েছে এমন সময়ে যখন বিস্ফোরণ ঘটালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত হবে৷ফের সন্ত্রাসের থাবা।
কেঁপে উঠল নিজাম, চারমিনারের শহর।
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর হায়দরাবাদে ফিরে এল জোড়া বিস্ফোরণের ভয়াল স্মৃতি৷
সেবারও জোড়া বিস্ফোরণ।
দুহাজার সাতের ২৫ অগাস্ট। সময় সন্ধে সাতটা পঁয়তাল্লিশ। হঠাত্ই লুম্বিনী পার্ক অ্যাম্পিথিয়েটারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
কী হয়েছে বুঝে ওঠার আগেই পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ফের আরেকটি বিস্ফেরণ। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় লুম্বিনীপার্ক থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গোকুল চাট ভাণ্ডার নামে একটি রেস্তোরায়।
পর পর দুই বিস্ফোরণে সেবারে মৃত্যু হয়েছিল বিয়াল্লিশ জনের। আহত শতাধিক৷ বিস্ফোরণের পিছনে হাত ছিল হরকত-উল-জিহাদ জঙ্গি গোষ্ঠীর৷
আঠেরোই মে, ২০০৭। দুহাজার সাতের জোড়া বিস্ফোরণের মাত্র তিন মাস আগেই আরও একবার বিস্ফোরণে তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল নিজামের শহর। সেবারে নাশকতার নিশানায় ছিল চারমিনার লাগোয়া মক্কা মসজিদ। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ষোলো জনের। মোবাইলের সাহায্যে ঘটানো সেই বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তে উঠে এসেছিল একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম।
তবে এবারে দিলসুখনগরের বিস্ফোরণের সঙ্গে ২০০৭-এর জোড়া বিস্ফোরণের মিল সবচেয়ে বেশি। দুটি ক্ষেত্রেই বিস্ফোরণ হয় সন্ধের ঠিক পর। একইভাবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণ। শুধু সময়ই নয়, জায়গার বিচারেও দুহাজারসাতের জোড়া বিস্ফোরণের সঙ্গে এই নাশকতার অদ্ভুত মিল৷
গোকুল চাটভাণ্ডারের খুব কাছে না হলেও দিলসুখনগর খুব একটা দূরেও নয়৷ আর দুহাজার সাতের জোড়া বিস্ফোরণের সময়ও দিলসুখনগর ফুটব্রিজের সামনেই মিলেছিল ব্যাগ ভর্তি জিলেটিন স্টিক৷ বৃহস্পতিবার সন্ধের বিস্ফোরণের পর তাই সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতিই ফিরে এল সাইবার নগরীতে।
First Published: Friday, February 22, 2013, 10:53