Last Updated: January 26, 2014 17:52

চব্বিশ ঘণ্টার স্টিং অপারেশনে ফাঁস হয়েছে টেট কেলেঙ্কারি। কিন্তু, চব্বিশ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও, দুর্নীতির তদন্তে সরকারের তরফে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। প্রভাবশালী একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যেতেই কি নীরব সরকার? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
টেট কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস হয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টার স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, আপনাদের চ্যানেল আর ওয়েবসাইটেই একমাত্র দেখেছি।
এদিকে, সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর স্বীকারোক্তিতে চরম বিব্রত তৃণমূল। মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সির মতো প্রথম সারির তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়েছে তাঁর স্বীকারোক্তিতে। যার জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি জীবনে কোনওদিন অনিয়মের সঙ্গে থাকেননি, থাকবেনও না। পরিষদীয় মন্ত্রী এও জানিয়েছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ তাঁর দফতরের কাজ নয়।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় জানিয়েছেন, নিয়োগ পদ্ধতিতে দুর্নীতি থাকলে তদন্ত হবে, দোষীরা শাস্তি পাবে। তিনি বলেছেন, বেকার হওয়াই চাকরিপ্রার্থীর প্রথম যোগ্যতা। তৃণমূল দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও, নীরব সরকার।
শনিবার বিকেল চারটেয় প্রথমবার সম্প্রচার হয়েছিল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর কথোপকথনের বিস্ফোরক টেপ। শনিবারই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।
তারপর চব্বিশ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও কোনও তদন্তের নির্দেশ দেয়নি শিক্ষা দফতর। প্রশ্ন উঠছে সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর বক্তব্যে কি কোনও সত্যতা রয়েছে? এই জল্পনাকে আরও উস্কে দিচ্ছে টেটের ফলাফলের প্রাথমিক বিশ্লেষণ।
মোট পরীক্ষার্থীর মাত্র এক শতাংশ টেটে পাস করেছেন বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্তারা। যোগ্য প্রার্থীর অভাবেই সব শূন্যপদ পূরণ করা যাবে না বলে জানানো হয় বোর্ডের তরফে। (ছবিতে দেওয়া হল জেলায় জেলায় বিক্ষোভের খণ্ড মুহূর্ত)
কিন্তু, ফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে পাস করা প্রার্থীদের সিংহভাগই উত্তর চব্বিশ পরগনার। প্রশ্ন উঠছে, হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার খাস তালুক হওয়াতেই কি উত্তর চব্বিশ পরগনার এই পারফরম্যান্স?
First Published: Sunday, January 26, 2014, 17:52