Last Updated: March 24, 2014 12:11

প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা হবে নির্ধারিত দিনেই। আজ এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পরীক্ষা হবে আগামী তিরিশে মার্চ। তবে বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে এই অনুমতি দিয়েছে বিশ্বনাথ সমাদ্দারের সিঙ্গল বেঞ্চ।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার্স এডুকেশনের গাইডলাইন মেনে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে পরীক্ষার্থীদের একাংশ। সেই মামলারই আজ শুনানি ছিল।
সিঙ্গলবেঞ্চের শর্তানুযায়ী, যাঁরা অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাঁরা সফল হলেও নিয়োগপত্র হাতে পাবেন না। তাঁরা পাবেন শংসাপত্র। প্রশিক্ষণ শেষ হলে তবেই মিলবে নিয়োগ পত্র। তিন সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি। এর আগে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এসএসসি নিয়েও হাইকোর্টে ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। ফলে আজকে প্রাথমিকে টেট পরীক্ষার দিন ঘোষণা নিয়ে হাইকোর্টের এই নির্দেশ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাখল রাজ্য সরকারকে।
প্রথমে সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা। তারপর সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণহীনরা। ৪ সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।
এর আগে ২৯ মার্চের এসএসসি টেট পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানোর জন্য আরএলএসটির পরীক্ষার ওপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ প্রসঙ্গে জটিলতার জেরেই ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১২ সালের টেট পরীক্ষা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন অর্থাত্ এনসিটিই-র নিয়ম মেনে হয়নি। এই অভিযোগে হাইকোর্টের মামলা হয়। শুনানির সময় সে অভিযোগ স্বীকার করে নেয় রাজ্য।
এদিকে ৩১ মার্চের পর কোনও প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীকে নিয়োগ করা যাবে না বলে গত অক্টোবরেই নির্দেশিকা জারি করে এনসিটিই। এরপরই ২৯ মার্চ টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহীনদের ভবিষ্যত কী হবে, সে বিষয়টিও হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার উনত্রিশে মার্চের টেট পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট।
বিশেষজ্ঞ মহল দূষছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দূরদর্শিতাকেই। তাঁদের মতে, এসএসসির দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যই প্রায় ছ লক্ষ পরীক্ষার্থী বিপাকে পড়লেন। কিন্তু কমিশনের চেয়ারম্যানের আশ্বাস, তাঁরা আইনগত দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
First Published: Monday, March 24, 2014, 14:05