থ্যালাসেমিয়া থেকে বাঁচতে শরীরে বাসা বাঁধল এইচআইভি

থ্যালাসেমিয়া থেকে বাঁচতে শরীরে বাসা বাঁধল এইচআইভি

থ্যালাসেমিয়া থেকে বাঁচতে শরীরে বাসা বাঁধল এইচআইভিথ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের  পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছিল গুজরাটের জুনাগড়ের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্লাডব্যাঙ্কের রক্তেই যে ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ রোগ। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের ২৩ জনের রক্তে মিলেছে এইচআইভির জীবাণু।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিনা খরচে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। গুজরাটের জুনাগরের সর্বদয় ব্লাডব্যাঙ্কের উদ্যোগে আশার আলোয় বুক বেঁধেছিলেন এখানকার ১৫০-রও বেশি বাচ্চার বাবা-মায়েরা। কারণ তারা সবাই ছিল থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। প্রতি মাসেই তাদের রক্ত দিতে হত। সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই চলত সর্বদয় নামে সেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্লাডব্যাঙ্ক। কিন্তু তারমধ্যেই ঘটল এক শিহরণ জাগানো ঘটনা। হঠাত্‍ একদিন দেখা গেল এই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের ২৩ জনের রক্তে রয়েছে এইচআইভির জীবাণু। একের পর এক শিশু আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তিনজনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। ছোট্ট ছোট্ট শিশুর শরীর গ্রাস করেছে মারণ ব্যাধি। সমাজও পাশে দাঁড়ায়নি। ঠিকমতো রক্ত সংগ্রহ না করা, সংগৃহীত রক্তের সংরক্ষণে গাফিলতি ও রোগীদের শরীরে রক্ত দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন না করার ফলেই শিশুদের শরীরের দানা বেঁধেছে থ্যালাসেমিয়ার থেকেও ভয়ঙ্কর এই মারণব্যাধি।
 
অবশেষে গুজরাট হাইকোর্ট এক জনস্বার্থ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে যার বিরোধিতা করেছে গুজরাট সরকার। পুলিস, প্রশাসন, সরকার সব তরফেই যেন নিজেদের বাঁচার আর এই অভিযোগ গুলিকে নস্যাত্‍ করার চেষ্টা চলছে।






First Published: Sunday, July 15, 2012, 22:13


comments powered by Disqus