Last Updated: June 11, 2014 19:23

বাঘের দাওয়াইয়ে নিজেই ঘায়েল হলেন বনকর্মী। বাঘের শরীর থেকে ঘুম পাড়ানি সিরিঞ্জের সূঁচ খোলার সময়। মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবনের দয়াপুরের বীনাপানিতে ঢোকে বাঘটি। ঘুমপাড়ানি গুলি প্রয়োগ করে বাঘটিকে ঘুম পাড়ানো হয়। আগামিকাল বাঘটিকে সুন্দরবন ব্যঘ্র প্রকল্পের কোর জোনে ছেড়ে দেওয়া হবে।
জঙ্গল থেকে সটান দয়াপুরের বীণাপানির পার্থ তরফদারের বাড়ি। বাড়ির দরজা খোলা। শিকার হাতের মুঠোয়। তবু গরজ দেখালেন না সুন্দরবনের একচ্ছত্র সম্রাট। বরং মন দিলেন বেঁধে রাখা ছাগল ভোজনে। কিন্তু একটা ছাগলে কি ডিনার হয়? অতএব উঠোনে দেওয়া ঘুঁটে পাড়িয়েই অন্য শিকারের সন্ধানে। এবার টার্গেট অন্য বাড়ির ছাগল। গোটা গ্রাম তখন ঘুমে। ভোরের আলো ফুটতে মরা ছাগল দেখে আশঙ্কাটা দানা বাঁধে। নিশ্চিত হন গোবরের ওপর বাঘমামার পদচিহ্ন দেখে।
খবরটা পেয়ে দেরি করেননি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকারিকরা। প্রথমে তাড়া দিয়ে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা হয়। বাঘমামার গাত্রোত্থানের কোনও লক্ষণ নেই দেখে শেষে ঘুমপাড়ানি গুলি। বাঘামামার দর্শনে তখন তিলধারনের জায়গা নেই। যেন কোনও তারকার শ্যুটিং চলছে। মাইকে ঘন ঘন সতর্ক বার্তা। তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র দমানো যায়নি বাঘ ভক্তদের।
বাঘমামাকে একবার কাছ থেকে দেখার, ছোঁয়ার হুড়োহুড়িতেই ঘটে যায় বিপত্তি। বাঘের শরীর থেকে ঘুম পাড়ানি সিরিঞ্জের সূঁচ খোলার সময় তা বিঁধে যায় কালী নামে এক বনকর্মীর হাতে। সুন্দরবনের সম্রাটের জন্য স্পেশ্যাল কড়া ডোজের ওযুধ। সে ওষুধে ঘায়েল কালী। বাঘ ছেড়ে তখন কালীকে নিয়ে হুড়োহুড়ি। তড়িঘড়ি গোসাবা হাসপাতালে পাঠানো হল কালীকে। আপাতত বহাল তবিয়তেই রয়েছে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘটি। তাকে ছাড়া হবে সুন্দরবন ব্যঘ্র প্রকল্পের কোর জোনে। বাঘমামা যখন জঙ্গলে, কালী তখন হাসপাতালে।
First Published: Wednesday, June 11, 2014, 19:42