Last Updated: May 24, 2012 22:49

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির রইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীরা। মন্ত্রিসভার ভিতরে প্রতিবাদ জানানোর এই সুযোগ কেন তৃণমূল কংগ্রেস গ্রহণ করল না, তা নিয়েই জল্পনা দানা বেঁধেছে। তৃণমূলের পথেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির ছিল ডিএমকে এবং এনসিপি। এদিকে তেল সংস্থাগুলি জানিয়ে দিয়েছে, বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, শরিকদের কিছু না জানিয়েই পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর পর বলার সুযোগ পেয়েও চুপ রইল তৃণমূল।
স্বাভাবিকভাবেই সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, পূর্ব নির্ধারিত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ইস্যুতে সরব হবেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীরা। কিন্তু তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে সেই বৈঠকে গেলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের কেউই। কেন প্রতিবাদ জানানোর এই সুযোগ তৃণমূল কংগ্রেস গ্রহণ করল না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল ডিএমকে এবং এনসিপি-ও। তবে জোট শরিকরা অনুপস্থিত থাকলেও কংগ্রসের একাংশ, বিজেপি ও বামেদের চাপে যথেষ্ট অস্বস্তিতে সরকার। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার মূল্যবৃদ্ধির পক্ষেই কার্যত সাফাই দিয়েছেন।
তেল সংস্থাগুলির তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্ন নেই। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই ইস্যুতে বৈঠকে বসতে পারে মন্ত্রিগোষ্ঠী। শেষপর্যন্ত সরকারের মুখ রক্ষার তাগিদে কিছুটা মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করা যায় কিনা সেই ভাবনাও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থতিতে তড়িঘড়ি বিদেশ সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরে এসেছেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী জয়পাল রেড্ডি।
First Published: Thursday, May 24, 2012, 22:53