Last Updated: January 18, 2014 21:06

জোটের আগে যেমন হয়, এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই ফের কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। দু দলের নেতারাই প্রকাশ্যে জানিয়েছে জোট তাঁরা চান না। কিন্তু পর্দার আড়ালে আবার যে সমীকরণ তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছে, সে খবরও কিন্তু এক প্রকার স্পষ্ট। প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা এবার আর কোনও ভাবেই জোট চান না। দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত এআইসিসিকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সিরা। শনিবার রাহুব গান্ধীও একলা চলোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি প্রদেশ নেতৃত্বের।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জোটের সমস্ত আলোচনাটাই একেবারে বোগাস। একক শক্তিতেই লড়তে চায় তাঁরা। কিন্তু তারপরও জোটের জল্পনা বেড়েই চলেছে। কারণ এর আগেও বহু বার এভাবে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার পরেও জোট হয়েছে দু দলের।
জোট না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসের ১০% ভোট ব্যাঙ্ক হারাতে হবে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল একক ভাবে কত আসন ছিনিয়ে আনতে পারবে তা নিয়ে ভাবনায় রয়েছে দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। অতীতে একক শক্তিতে লড়াই করে কিন্তু কখনই সাফল্যের মুখ দেখেনি দল। তাই ভাবনাটা থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলে ইউপিএ টু সরকারের সমস্ত জনবিরোধী নীতির দায় বইতে হবে তৃণমূলকেও। এটা যে ভোট বাক্সে দলের পক্ষে ইতিবাচক হবে না, তা বিলক্ষণ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে জোট না হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি কংগ্রেসের। একক শক্তিতে তিনটের বেশি আসন জেতা কংগ্রেসের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। নিজেদের ছটি আসন ধরে রাখতে গেলে জোট ছাড়া তাদের সামনে কোনও বিকল্প খোলা নেই। তবে কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্বের আশঙ্কা আবার তৃণমূলের সঙ্গে জোটে গেলে দলের নীচু তলার কর্মীদের ধরে রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে। ফলে রাজ্য নেতারা জোট চান না। কিন্তু দিল্লির গদি বাচাতে কী করবে আআইসিসি, তাই এখন ভাবাচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বকে।
First Published: Saturday, January 18, 2014, 21:06