Last Updated: June 22, 2013 21:58

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রেজিস্ট্রারকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার ঘটনায় দায় এড়াল তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন। তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি দোলা সেনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই তৃণমূলের কর্মী সংগঠন নেই। যদিও তৃণমূলেরই অন্য সূত্র বলছে, দলের নাম ব্যবহার না করে, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই কর্মী সংগঠন চালু করে দিযেছে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন।
বিত্ত কমিটির বৈঠকে হস্টেলের কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনার সময় বেশ কিছু কর্মীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুব্রত ঘোষ। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল কর্মী সংগঠনের নেতা এবং কোর্টের প্রতিনিধি সুশান্ত চক্রবর্তী তখনই রেজিস্ট্রারের সঙ্গে তর্কে জুড়ে দেন । কিছুক্ষণের মধ্যেই সুব্রত ঘোষকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। তৃণমূলের কর্মী ইউনিয়নের লোকেরাই যে একাজ করেছেন, তা স্বীকার করে নেন উপাচার্য।
যদিও এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি দোলা সেন বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই তাঁদের সংগঠন নেই। দোলা সেন এই দাবি করলেও, তৃণমূলেরই অন্য একটি সূত্রের বক্তব্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন গড়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মুকুল রায় এবং দোলা সেনরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মী সংগঠন চালু করে দেন।
শিক্ষাবন্ধু সমিতি নামের ওই সংগঠন মূলত এই দুই নেতানেত্রীর নির্দেশেই চলে বলে খবর। প্রথমে শিক্ষাবন্ধু সমিতি নামে সংগঠন চালু হলেও, পরে তার সঙ্গে তৃণমূল নামটি জুড়ে দেওয়া হয়। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই যে এই সংগঠন রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়েছে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের আরেক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যে।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি শিক্ষাবন্ধু সমিতিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি। শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ শান্ত রাখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলের ট্রেড ইউনিয়ন থাকবে না, এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও শিক্ষাবন্ধু সমিতি কীভাবে গড়ে উঠল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
First Published: Saturday, June 22, 2013, 21:58