Last Updated: October 13, 2012 18:35

এই প্রথম নয়, এরআগেও বহুবার বহু অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে শাম্ব মণ্ডল। এমনকি পুলিসের হাতে ধরাও পড়েছে। কিন্তু, রাজনৈতিক আশ্রয়ে কখনই তাকে শাস্তি পেতে হয়নি। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল শাম্ব ও তার বাহিনী। প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে ইউনিয়ন রুমে মদ খাইয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাম্ব।
দীর্ঘদিন ধরেই শাম্ব ও তার বাহিনী কার্যত ত্রাস তৈরি করেছিল রূপনারায়ণপুর এলাকায়। ২০১১ অক্টোবরে শাম্ব বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় শুকুল। সেই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হলে এক ছাত্রের বুকের ওপর মোটরসাইকেল চালিয়ে দিয়েছিল শাম্ব। শেষ পর্যন্ত শূন্যে গুলি চালাতে চালাতে এলাকা ছেড়ে পালায় তারা। সম্প্রতি কল্যাণ গ্রামের এর মহিলাকে মদ্যপ অবস্থায় মারধোরের অভিযোগ ওঠে শাম্বর বিরুদ্ধে।
আরেক অভিযুক্ত মিথিলেশ ওঝার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের হাঁসপাহাড়িতে। নিয়মিত এই কলেজের ছাত্র সংসদের ঘরে মদ্যপানের আসরে হাজির থাকা ও বিভিন্ন দুষ্কর্ম করে ঝাড়খণ্ডে গিয়ে গা ঢাকা দেওয়াটা ছিল এর কাজ। অভি ঘোষ, শাম্বর অন্যতম সহযোগী, যাবতীয় দুষ্কর্মের সঙ্গী। ঘটনার দিন ইউনিয়ন রুমে এই যুবকদের সঙ্গে ছিল নিরাপত্তা রক্ষী বিজয় যাদব ওরফে ভোলু। আর কলেজের সবচেয়ে কাছের লোকই সবচেয়ে বেশি শত্রুতা করে।
আসানসোলের রূপনারায়ণপুর পলিটেকনিক কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্তরা এখনও ফেরার। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শোভনা দাস নামে ওই কলেজেরই প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর। শোভনা দাসই নিগৃহীতা ছাত্রীকে ইউনিয়ন রুমে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে, তাঁকে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কলেজের জিএস তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শাম্ব মণ্ডল ও তার দুই সঙ্গী অভি ঘোষ ও শোভনা দাস, তিনজনই পলাতক। মূল অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা শাম্ব মণ্ডলের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এইসব ঘটনায় পুলিস তাকে গ্রেফতারও করেছিল। যদিও, পরে ছাড়া পেয়ে যায় সে। গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত মিথিলেশ ওঝা নামে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বহিরাগত এক যুবকেরও এখনও কোনও খোঁজ নেই। এই ঘটনায় আগেই ধৃত কলেজের নিরাপত্তাকর্মী বিজয়কুমার যাদব ওরফে ভোলুকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়েছে।
First Published: Saturday, October 13, 2012, 22:02