Last Updated: August 27, 2012 19:30

সপ্তাহের শুরুতেই সারের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে সংসদভবনের বাইরে ধর্নায় বসলেন তৃণমূল সাংসদরা। সারের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে কৃষকদের নাভিশ্বাস উঠছে এই অভিযোগে সরব হন তাঁরা।
অবিলম্বে ভর্তুকি চালু করে সারের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি। ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে যখন সংসদের ভিতরে বিরোধীদের প্রবল চাপে কোণঠাসা সরকার। ঠিক তখনই সংসদের বাইরেও কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে সরব হল ইউপিএ-র প্রধান শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সার কিনতে না পেরে পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না এমনই অভিযোগ তাঁদের।
এদিন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, "গরিব কৃষকের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। একদিকে খরা, অন্যদিকে বন্যা। এর মাঝে পড়ে কৃষক মারা পড়ছে"।
সারের দাম কমানো নিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে অন্য দলগুলিকেও আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটি। রাজ্যের জাতীয় সড়কগুলির বেহাল অবস্থা নিয়েও প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা।
এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও ছিল সরকার বিরোধী সুর। তিনি বলেন, "কৃষকদের সঙ্গে সারের দামের সমস্যাটা জড়িত। আমরা এই সমস্যার প্রসঙ্গ সংসদে তুলতে চাই।" সেই সঙ্গে তিনি দবি জানান, "সরকারকে সারের দাম কমাতে হবে ও ভর্তুকি দিতে হবে কৃষকদের"।
সম্প্রতি দিল্লি সফরে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সারের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে দলীয় সাংসদরা যে সরব হবেন সেকথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে পাশে দরকার মুখ্যমন্ত্রীর। তাই সংসদে ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিরোধিতার সাহস দেখাতে পারেনি তৃণমূল। ফলে সংসদভবনের বাইরেই ধর্ণায় বসে সরকারকে চাপে রাখার রাস্তা নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
First Published: Friday, August 31, 2012, 17:12