Last Updated: July 17, 2013 09:05

তৃণমূল সমর্থক খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সিপিআইএম নেতা সাত্তার মোল্লাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনই আদালতে জানায়নি পুলিস। অর্থাত্ খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সাত্তার মোল্লাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন মনে করেনি পুলিস। সাত্তারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের প্রয়োজনও কি নেই পুলিসের? উঠতে শুরু করেছে এমনই প্রশ্ন।
গতকাল রাতে ভাঙড়ের শাকশহর গ্রামপঞ্চায়েতের ঘুঙড়িআইতে খুন হন তৃণমূল সমর্থক নজরুল মোল্লা। সেই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিপিআইএম নেতা সাত্তার মোল্লা সহ ছয়জনকে। ধৃতদের মধ্যে আচের আলি সাঁপুই ও সইফুদ্দিন মোল্লা সিপিআইএমের পঞ্চায়েত প্রার্থী। রফিকুল ইসলাম এক সিপিআইএম পঞ্চায়েত প্রার্থীর স্বামী। বাকি দু'জন রাজা মল্লিক ও অলোক পাল স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ২০১ ধারায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং ১২০ বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাশাপাশি, অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৭ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। মামলায় ছয় অভিযুক্তকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে দুই পঞ্চায়েত প্রার্থী আচের আলি সাঁপুই ও সইফুদ্দিন মোল্লাকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল পুলিস। তাঁদের বিশে জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেলা হেফাজতের পর তাঁদের পুলিস হেফাজতে পাঠানো হবে।
অশান্ত ভাঙড়ে খুন হন এক তৃণমূল কর্মী। গতকাল, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ঢুকে নজরুল মোল্লার নামে এক তৃণমূল সমর্থককে গুলি করে খুন করা হয়। শাসকদলের অভিযোগ সিপিআইএম সমর্থকরাই তাঁকে খুন করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের শাকশহরে ঘুঙড়িআইতে এই ঘটনাটি ঘটে। তারপরই সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাত্তার মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিস। সেইসঙ্গে আরও আটজন সিপিআইএম কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
First Published: Wednesday, July 17, 2013, 20:12