Last Updated: August 21, 2012 09:56

কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী বেণীপ্রসাদ বর্মা কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকদের ভাগ্যোদয় দেখতে পেলেও প্রকৃত চিত্রটা অনেকটাই আলাদা। পরিসংখ্যান বলছে, দেশজুড়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত কৃষকরা। কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধির শ্লথ গতি বাড়াচ্ছে চিন্তা। কৃষি নির্ভর রাজ্যগুলিতে দিন দিন বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, এইসব রাজ্যে মাঝবয়সীদের মধ্যে আত্মহননের প্রবণতা বেশি। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ!
চলতি মরসুমের অনাবৃষ্টি কৃষকের ঘরে বয়ে এনেছে আশঙ্কার মেঘ। সার, বীজ, কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়া, সেচের জল, ফসলের দাম না পাওয়ায় কৃষকদের সমস্যা বাড়ছে। অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথ। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো কৃষিনির্ভর রাজ্যগুলিতে বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা। গত বছর তামিলনাড়ুতে ১৫,৯৬৩টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে ১০,২৮২ জন পুরুষ। ৫,৬৮১ জন মহিলা। ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রে ১৫,৯৪৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। এঁদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১০,৮৮৭. মহিলার সংখ্যা ৫,০৬০। গত বছর অন্ধ্রপ্রদেশে ১৫,০৭৭টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে ১০,১২০ জন পুরুষ। ৪,৯৫৭ জন মহিলা।
সব মিলিয়ে ২০১১ সালে সারা দেশে নথিভুক্ত আত্মহত্যার সংখ্যা ১,৩৫,৫৮৫. মৃতদের মধ্যে ৮৭,৮৩৯ জন পুরুষ। ৪৭,৭৪৬ জন মহিলা। দেখা যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪৪ বছরের পুরুষদের মধ্যে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এই বয়সসীমার মধ্যে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। নথিভুক্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছর সারা দেশে ৩০ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ৩১,৪০০ জন পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। এই বয়সসীমার মধ্যে মহিলাদের আত্মহত্যার সংখ্যা ১৪,৮১৫। মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ, পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যায় বারবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। যদিও, পরিস্থিতির সেভাবে উন্নতি হয়নি। আর কত মৃত্যু হলে সরকারের টনক নড়বে, এখন সেটাই প্রশ্ন দেশের আমজনতার।
First Published: Tuesday, August 21, 2012, 09:56