Last Updated: June 19, 2014 14:57

ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বারাকপুরে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। গোটা ঘটনায় সিপিআইএম ও বিজেপির ওপরেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অরুণ মুখার্জি এবং সুজয় পাত্র নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সকাল থেকেই থমথমে ব্যারাকপুরের পরিস্থিতি। কোর্ট টার্মিনাস থেকে বাস ছাড়ছে না। বসেছে পুলিস পিকেট।
দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে বারংবার কড়া বার্তা দিয়েছেন দলের নেতারা। কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীও। কিন্তু তাতেও যে অবস্থা বিশেষ বদলায়নি, তারই প্রমাণ বুধবার বারাকপুরের ঘটনা। গতবছর জুন মাসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বারাকপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছিল বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা। বুধবার সেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ওপরেই বেপরোয়া হামলার ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবিটা। প্রতিদিনের মতো এদিনও পার্টি অফিসে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আচমকাই তাঁর ওপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে বোমা ছোঁড়ার পর রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। রবীন্দ্রনাথবাবুর পেটে দুটি ও পায়ে একটি গুলি লাগে। তবে স্থানীয় মানুষ আসার আগেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থায় অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুধবার রাতেই তাঁকে দেখতে নার্সিংহোমে যান দুই তৃণমূল নেতা মুকুল রায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নামানো হয় র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। বারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে আপাতত রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অবস্থা স্থিতিশীল।
First Published: Thursday, June 19, 2014, 14:57