Last Updated: October 25, 2013 18:53

বীরভূমের লাভপুরে গণপিটুনিতে তৃণমূল কর্মী সেন্টু শেখের মৃত্যুর ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল লাভপুর থানার পুলিস। অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা চয়ন চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে সেন্টু শেখের বিরুদ্ধে। এরপরই গণপ্রহারে মৃত্যু হয় তার।
বীরভূমের গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় উঠে এসেছে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মৃত সেন্টু শেখকে নিজেদের লোক বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, অনুব্রত মণ্ডলরা। এই সেন্টু শেখের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল নটা নাগাদ লাভপুরের বিপ্রটিকুড়ি গ্রামে স্কুলের সামনে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় সেন্টুর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা চয়ন চট্টোপাধ্যায়কে খুন করার জন্য গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। অল্পের জন্য গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান চয়ন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু গুলির শব্দে জড়ো হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর বাইক আরোহী সেন্টুকে ঘিরে ফেলে। ভেঙে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাইকটি। গণপ্রহারে মৃত্যু হয় সেন্টুর। ঘটনার পরপরই সেন্টুকে নিজেদের দলের কর্মী বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। আর তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় সেন্টু শেখ হত্যায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে।
অনুব্রত বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত চয়ন চট্টোপাধ্যায় নিজেকে তৃণমূল নেতা বলে দাবি করলেও তৃণমূলের অনুব্রত গোষ্ঠী সে বিষয়ে নীরব।
First Published: Friday, October 25, 2013, 18:54