Last Updated: January 16, 2014 23:01

দুই মৃত্যু। প্রথমজনকে দুবার ধর্ষিত হয়ে পুড়ে মরতে হয়। দ্বিতীয়জন বারাসতের এক কলেজ ছাত্র। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। মারা যান সেরিব্রাল অ্যাটাকে। টিএমসিপি সমর্থকের দেহ নিয়ে দেখা গেল শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের তত্পরতা। কিন্তু পিস হাভেন যাওয়ার পথে ধর্ষিতার পরিবারের পাশে দেখা যায়নি কাউকে। উল্টে দেহ জবরদখল করে পুলিস। দশদিনের ব্যবধানে এই শহরই দেখল প্রশাসনের দুই মুখ।
কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রচার সেরে বাড়ি ফেরেন কালীনগর কলেজের ছাত্র পরেশ মণ্ডল। বুকে ব্যথা ওঠায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। কিন্তু টিএমসিপি সহ তৃণমূলের কিছু নেতার দাবি, এসএফআই পিটিয়ে মেরেছে পরেশ মণ্ডলকে। দেহ রাখা হয় পিস হাভেনে। কারণ, পরদিন সেই দেহ নিয়ে মিছিল বের হবে রাস্তায়।
পরেশের দেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রথমে পিস হাভেন থেকে মিছিল, সেখান থেকে শ্মশান। সবেতেই তত্পর পুলিস-প্রশাসন। এরকম ঘটনায় পুলিসি তত্পরতা দেখা যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন, কিছুদিন আগে যখন মধ্যমগ্রামের ধর্ষিতার দেহ পিস হাভেনে রাখতে চেয়েছিল তাঁর বাবা-মা, তখন কি করেছিল পুলিস? পিস হাভেনে নিয়ে যাওয়ার পথে কার্যত নির্যাতিতার দেহ ছিনতাই করে পুলিস। রাতভর রাস্তায় পড়ে থাকে দেহ।
মৃত্যুর আগে দুষ্কৃতীদের অত্যাচার। মৃত্যুর পর পুলিসি জুলুমে নাজেহাল হতে হয় পরিবারকে। মধ্যগ্রামের নির্যাতিতার দেহ নিয়ে সিটু মিছিল করায় কটাক্ষের ঝড় তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু প্রশ্ন, পরেশের দেহ নিয়ে কলকাতায় মিছিল, নেতাদের প্রকাশ্য মতবিরোধ। এবার কী বলবে তৃণমূল হাইকমান্ড?
First Published: Thursday, January 16, 2014, 23:01