রাজস্থানের পরমাণুকেন্দ্রে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কা

রাজস্থানের পরমাণুকেন্দ্রে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কা

রাজস্থানের পরমাণুকেন্দ্রে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কাপরমাণু বিদ্যুত্চুল্লি থেকে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল রাজস্থানের রাওয়াতভাতায়। কোটার কাছে রাওয়াতভাতা পরমাণু বিদ্যুত্‍ চুল্লিতে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৮ জনের অসুস্থতার খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে দু`জন গুরুতর অসুস্থ। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

রাজস্থানের রাওয়াতভাতা পরমাণু বিদ্যুত্‍ চুল্লি। কোটার কাছে অবস্থিত এই চুল্লিকে ঘিরে এখন আতঙ্কের মেঘ। কারণ তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ। গত ২৩ জুন রাওয়াতভাতা পরমাণু বিদ্যুত্‍‌কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটে মেরামতি চলছিল। চুল্লির সুরক্ষিত অংশে ঝালাই করতে গিয়ে কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চুল্লি থেকে তেজষ্ক্রিয় ট্রিটিয়াম নির্গমনের কারণেই কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, ট্রিটিয়াম হল রেডিওঅ্যাক্টিভ হাইড্রোজেন। রাওয়াতভাতা পরমাণু বিদ্যুত্‍‌কেন্দ্রের ৫ এবং ৬ নম্বর ইউনিটের স্টেশন ডিরেক্টর জানিয়েছেন, দু`জন কর্মী তেজষ্ক্রিয় বিকিরণে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের এক বছরের জন্য কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। 

তবে পরমাণু চুল্লিতে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের জেরে অসুস্থতার সংখ্যা নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে প্রচুর ফারাক তৈরি হয়েছে। কর্মীদের একটা অংশের দাবি, ট্রিটিয়াম বিকিরণে চুল্লিতে কর্মরত ১৫০-এরও বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যদিও নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কেসি পুরোহিত চুল্লির সব কর্মী নিরাপদে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এমনকী তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি। এর আগে ২০০৯ সালে কর্ণাটকের কাইগায় ট্রিটিয়াম বিকিরণের ঘটনা ঘটেছিল। ২০১১ সালে সুনামির পরে জাপানের ফুকুশিমা দাইচিতেও তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়।

First Published: Saturday, June 30, 2012, 16:11


comments powered by Disqus