Last Updated: August 17, 2012 10:09

রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উত্তাল হয়ে উঠল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ চত্ত্বর। চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙচুর চালালেন রোগীর আত্মীয় এবং হাসপাতাল চত্ত্বরে থাকা কিছু মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাল্টা লাঠি চালায় পুলিস। জনতা-পুলিস সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্ত্বর।
গতকাল হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে এসেছিল দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা, ১৫ বছরের কিশোর সন্তু রায়। ১৫ অগাস্ট নিজের পাড়ায় ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পায় সে। হাসপাতালের আউটডোরে চিকিত্সা করাতে এলে সন্তুকে পরীক্ষা করে অস্ত্রোপচারের কথা বলেন চিকিত্সকেরা। গতকাল অস্ত্রোপচারের পর সন্তুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে অভিযোগ পরিবারের লোকেদের। আর ভোরে তার মৃত্যু হয়।

সন্তু রায়ের মৃত্যুর পর চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগে, হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন তাঁর আত্মীয়েরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন হাসপাতাল চত্বরে থাকা অন্যান্য রোগীদের কিছু পরিজনেরা। গণ্ডগোল করার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিস। এই ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করা দেওয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় এমার্জেন্সি বিভাগ'ও। ভাঙচুরের জেরে বেশ কিছুক্ষণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুত্সংযোগ। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সুশান্ত ব্যানার্জি এই ঘটনাকে 'পরিকল্পিত গুন্ডামি' বলে চিহ্নিত করে বলেছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, সরকার কড়া হাতে এর মোকাবিলা করবে।
First Published: Friday, August 17, 2012, 10:46