একা আমি ও আমার শয্যা!

একা আমি ও আমার শয্যা!

একা আমি ও আমার শয্যা!ব্যাচেলর পুরুষদের অপরিচ্ছন্নতা সারা বিশ্বজুড়ে যুগ যুগ ধরেই কোনও অজানা কারণে বেশ প্রতিষ্ঠিত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে রুচি, সংস্কৃতি, দৃষ্টভঙ্গী সহ বহু কিছু পরিবর্তিত হলেও ব্যাচেলরদের অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি বেশ কন্সট্যান্ট ফ্যাক্টর। এর বিশেষ নড়ন চড়ন হয় না। বরং অধিকাংশ অবিবাহিত পুরুষ যত্নে লালন করে এই (বদ!) অভ্যাস। এর ব্যাপ্তি এতটাই যে সব ভাষার কবিতা উপন্যাসেও বেশ ঠাঁই খুঁজে নিয়েছে। ব্যাচলরদের প্রজন্ম লালিত এই বিশেষ অভ্যাসে সিলমোহর লাগাল সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা। এই সমীক্ষা অনুযায়ী ব্যাচেলর বা একা পুরুষরা গড়ে তিন মাসে মাত্র একবার বিছানার চাদর বদলাবার `বিলাসিতা` করেন।

ব্রিটেনের ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী পুরুষদের উপর এই সমীক্ষা চালিয়েছে গ্রেট ব্রিটেনের একটি গদি প্রস্তুতকারী কোম্পানি। এই সমীক্ষা অনুযায়ী ৪৯% শতাংশ একা পুরুষ জানিয়েছেন তাঁদের এই অপরিচ্ছন্নতার অভ্যাস আসপাশের লোকজন ভালভাবেই নেন। ১৯% অবশ্য জানিয়েছেন দিনের পর দিন নোংরা হয়ে যাওয়া তেল চিটে বিছানার চাদরে শুতে তাদের বিন্দুমাত্র অসুবিধাতো হয়ে না। তাঁদের নোংরা অভ্যাসে কেউ যদি কিছু মনে করেন তাতে তাঁদের জাস্ট বয়েই যায়।

অন্যদিকে, সমবয়সী একা মহিলারা কিন্তু আড়াই সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর বদলানই।

এই সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুষ অবশ্য যখনই কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁদের পরিচ্ছন্নতার প্যারামিটারটা কিন্তু চড়চড় করে বাড়তে থাকে। বিছানার চাদরের বদলের সময়সীমাটাও দ্রুত বাড়তে থাকে।

তবে বিয়ে বা লিভ ইন সম্পর্কে ৮১% ক্ষেত্রেই মহিলারা বাড়ির পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব পালন করেন। বিছানার চাদর বদলানোর দায়িত্বটা তাঁরাই পালন করেন।

তবে বয়েস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পরিচ্ছন্নতা জ্ঞান সাধারণত বৃদ্ধি পায়। ৩৫ থেকে ৫০ বছরে কোনও মহিলা বা পুরুষ গড়ে সপ্তাহে একবার বিছানার চাদর পরিবর্তন করে।






First Published: Sunday, August 25, 2013, 11:35


comments powered by Disqus