Last Updated: October 31, 2011 19:14

দুর্নীতির দায়ে অপসৃত প্রধান শিক্ষক পুলিসের সাহায্য নিয়ে জোর করে স্কুলে ঢুকতে চাওয়ায় উত্তেজনা ছড়াল শিয়ালদার মিত্র ইনস্টিটিউশনে। আনিসুর রহমান নামের ওই শিক্ষক আজ সকালে স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় ছাত্ররা। ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস বয়কট করে তারা। সামিল হন অভিভাবকরাও। পুজোর ছুটির পর স্কুল খুলেই এমন ঘটনায় স্কুলের পঠনপাঠন ও পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বজবজের একটি স্কুল থেকে দুর্নীতির দায়ে অপসৃত হবার পর ২০০৪ সালের মে মাসে মধ্য কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন মিত্র-স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আসেন আনিসুর রহমান। আসার পর থেকেই নতুন করে একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে তার নাম। মিড ডে মিলের টাকা তছরুপ, স্কুলের উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকা সরানো, সর্বশিক্ষা অভিযানের বইয়ের টাকার অবৈধ লেনদেন থেকে শুরু করে মাথাপিছু পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে নবম শ্রেণীর পাঁচ ফেল করা ছাত্রকে দশম শ্রেণীতে প্রমোশন।
সীমাহীন দুর্ণীতির দায়ে ২০১০এর ২৯শে এপ্রিল তাকে বরখাস্তে সিদ্ধান্ত নেয় স্কুলের পরিচালন সমিতি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যান আনিসুর। পুজোর ছুটির পর সোমবার খুলেছিল স্কুল। এদিন সকালে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার আট পুলিসকর্মী এবং বহিরাগত ছয় তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে তিনি স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করেন। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় স্কুলে। ক্লাস বয়কট করে পড়ুয়ারা।ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরাও। বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন। পরিচালন সমিতি স্থানীয় থানা এবং আদালতের পরামর্শ নিয়ে আনিসুর রহমানের ব্যাপারে পরবর্তী অবস্থান ঠিক করবে। তার আগে পুলিসকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে তাঁকে স্কুলে ঢোকার চেষ্টা থেকে বিরত রাখা হয়।
First Published: Monday, October 31, 2011, 19:14