Last Updated: January 18, 2012 16:22

নয়াদিল্লির সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর পথে আরও এক ধাপ এগোল বারাক ওবামা সরকার। বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের 'ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি' রবার্ট স্কেয়ার জানালেন, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আগ্রহী পেন্টাগন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলেই দাবি রবার্টের।
গত বছর ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সরবরাহের দরপত্র জমা দিয়েছিল দু'টি মার্কিন বিমান নির্মাতা সংস্থা লকহিড মার্টিন ও বোয়িং। কিন্তু বোয়িং-এর 'এফ-১৮ সুপার হর্নেট' এবং লকহিডের তৈরি 'এফ-১৬ ফ্যালকন' কার্যকরিতা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়। সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট দুই মার্কিন সংস্থা প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি হস্তান্তরে রাজি না-হওয়াতেই বায়ুসেনা এফ-১৮ এবং এফ-১৬-র বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়।
এর পরই গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনের তরফে যৌথ উদ্যোগে উন্নততর এফ-৩৫ ফাইটার জেট নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয় নয়াদিল্লিকে সেই সঙ্গে বহুল প্রচলিত বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র 'স্ট্রিংগার'-এর আধুনিকতম 'আকাশ থেকে আকাশ' সংষ্করণও ভারতীয় বায়ুসেনাকে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে ওবামা সরকার। এই প্রেক্ষাপটে রবার্ট স্কেয়ারের এদিনের বিবৃতিকে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। অতীতে সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হানার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে পেন্টাগন।
বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক প্রভাব বজায় রাখতে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা গড়ে তোলার বিষয়টি ওভাল অফিসের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার থেকে সি-১৩০জে সামরিক পরিবহণ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনমোহন সরকার। রবার্ট স্কেয়ারের দাবি, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পথে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
First Published: Thursday, January 19, 2012, 08:39