Last Updated: November 15, 2011 14:27

বিধানসভা ভোটের পাঁচ মাস আগে `মাস্টারস্ট্রোক` দিলেন মায়াবতী! রাহুল গান্ধীর ফুলপুর সমাবেশের পরদিনই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ ভেঙে চারটি নতুন রাজ্য গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। মায়াবতী জানিয়েছেন, আগামী ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করা হবে। বিএসপি সুপ্রিমোর এই পদক্ষেপ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলিকে অনেকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যকে ভেঙে বুন্দেলখণ্ড, পূর্বাঞ্চল, অওধপ্রদেশ এবং পশ্চিমপ্রদেশ গড়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকেই বুন্দেলখণ্ডের `বঞ্চনা` নিয়ে সরব রাহুল গান্ধী। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশ সীমানা লাগোয়া এই অঞ্চলে চমকপ্রদ ফল করেছে কংগ্রেস। বঞ্চনার অভিযোগ রয়েছে পূর্বাঞ্চলেও। সাম্প্রতিককালে বহিষ্কৃত সমাজবাদী সাংসদ অমর সিংয়ের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই অঞ্চলে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে ক্রমশ আন্দোলন দানা বাঁধছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ বলয়ের জেলাগুলি নিয়ে পৃথক হরিত্প্রদেশ গঠনের প্রস্তাব অনেক দিনের পুরনো। আরএলডি সুপ্রিমো অজিত সিংয়ের এই দাবির পিছনে জনসমর্থনও রয়েছে যথেষ্টই। ফলে নতুন রাজ্য গড়ার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অধিবাসীদের মানসিক 'ক্ষত প্রশমন'-এর কাজ করবে বলেই বিএসপি নেতৃত্বের আশা। অন্য দিকে অওধপ্রদেশ রাজ্য গড়ার প্রস্তাব একেবারেই বহিনজীর মস্তিষ্কপ্রসূত। সাংগঠনিক ভাবে এই অঞ্চলে বিএসপি`র জনভিত্তি কিছুটা দুর্বল। নয়া রাজ্য গঠনের প্রস্তাব এনে মায়াবতী অযোধ্যা-লাগোয়া অঞ্চলে সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ভাঙাতে চাইছেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
First Published: Wednesday, November 16, 2011, 12:45