Last Updated: July 2, 2013 12:37

বদ্রীনাথে শেষ হল উদ্ধার কার্য। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উত্তরাখণ্ডে নিখোঁজের সংখ্যা ১১,০০০। নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বাড়ি এবং হোটেল নির্মাণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল উত্তরাখণ্ড সরকার। বন্যায় নদীর তীরবর্তী বহু বেআইনি বাড়ি, হোটেল ও লজ ধ্বংস হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। একইসঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের জন্য একটি পৃথক পর্ষদ গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডে আরও বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পর্ষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুনা স্বয়ং। উত্তরাখণ্ডের পুনর্গঠনের জন্য ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাঙ্ক ও এশিয়ান ডেভলেপমেন্ট ব্যাঙ্কের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
ছোট দোকান শুরু করে হোটেল মালিক। বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকলকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে উত্তরাখণ্ড ক্যাবিনেটে। আখচাষীরা সব থেকে বেশি ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছেন বিজয় বহুগুনা। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও চামোলি থেকে তিনশোজন এবং বদ্রীনাথ থেকে ছশোজন পর্যটককে উদ্ধার করে যোশীমঠে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি এখনও কাটেনি। উত্তরাখণ্ড বিধানসভার অধ্যক্ষ মৃতের সংখ্যা ১০,০০০ ছাড়িয়েছে বলে ঘোষণা করলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের মতে মৃতের সংখ্যা ৯০০-এর কিছু বেশি। আবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার মতে মৃতের সংখ্যা ৫৮০।
First Published: Tuesday, July 2, 2013, 14:10