Last Updated: July 24, 2012 14:19

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অশান্ত অসম। মঙ্গলবার কোকরাঝাড় এবং চিরং জেলায় নতুন করে হিংসার খবর মিলেছে। সংঘর্ষ ছড়িয়েছে বঙ্গাইগাঁওতেও। হিংসায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিসের গুলিতে। গোসাইগাঁওয়ে মঙ্গলবারও গুয়াহাটিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের ইঁটবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চারটি বগি। যার ফলে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে দুরপাল্লার ট্রেন। সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। মঙ্গলবার রাজ্যের হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান অসমের ডিজি জয়ন্ত নারায়ণ চৌধুরী। প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে রাজ্য বিজেপিও। এই অবস্থায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসায় অশান্ত অসম। সোমবার দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতে ফকিরগঞ্জ, দোতোমা, সেরফানগুরি, নরবাড়ি, গোসাইগাঁও, মোকরাজান এবং তুলসিবাড়িতে বহু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ফলে ভয়ে এবং আতঙ্কে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া। কোকরাঝাড়ে আতঙ্কিত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি ত্রাণ শিবিরে। চিরাং জেলায় বিভিন্ন স্কুলভবন এবং স্থানীয় ক্লাব ঘরই ঘরছাড়া মানুষদের ঠিকানা। মঙ্গলবার সকাল থেকে কোকরাঝাড় এবং চিরাং জেলায় নতুন করে হিংসা ছড়ায়। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বঙ্গাইগাঁও জেলাতেও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোকরাঝাড়ে অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি হয়েছে। সেইসঙ্গে দেখা মাত্র গুলি চালানোরও নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। চিরাং এবং ধুবরি জেলায় রাত্রিকালীন কার্ফু অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে জরুরী বৈঠকে বসেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তারপরই রাজ্যের দুই মন্ত্রী নীলমনি সেন এবং পৃথীবি মাঝিকে কোকরাঝাড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। অসমে হিংসা বেড়ে চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশও দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রসচিব আরকে সিংও জানিয়েছেন, অসমের উপর নজর রাখছে কেন্দ্র। পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী।
First Published: Tuesday, July 24, 2012, 20:30