Last Updated: March 16, 2014 21:13
নিজেরই নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দল। তৃতীয় দফায় সাংসদ পদপ্রার্থী জিন্দল গিয়েছিলেন কুরুক্ষেত্রে, নির্বাচনী প্রচারে। কিন্তু গত দশ বছরের কাজের খতিয়ান সম্পর্কে জানতে চেয়ে কুমোর সমাজের লোকজন তাঁকে প্রশ্ন করতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মেজাজ হারিয়ে ফেলেন শিল্পপতি-সাংসদ।
নিজেদেরই জমিতে পাকাপাকি মালিকানার দাবিতে গত দশ বছর ধরে আন্দোলন করছেন কুরুক্ষেত্রের ক্যায়থল জেলার মানুষ। জমি পাইয়ে দেবেন এবং তাঁর জন্য এলাকার কুমোর সমাজের প্রতিনিধিদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন। এই শর্তে নবীন জিন্দল এখানকার কুমোর সমাজের ভোট পেয়ে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এ বার নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পর এখানকার মানুষ যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন তাঁরা এখনও নিজেদের জমির অধিকার পেলেন না, প্রশ্ন তোলেন জিন্দলেন কাজকর্ম নিয়ে, তখনই বিগড়ে যান সাংসদ-শিল্পপতি। প্রথমে টালবাহানা শুরু করে দেন, পরে রীতিমতো বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এতদিন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসার পর এ বার বিতর্কের মাঝে জানিয়ে দেন, তিনি শুধু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই চিঠি লিখতে পারেন।
নিজেদের সাংসদের এই আচমকা ইউ টার্নে এলাকার মানুষের ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা অত্যন্ত স্বাভাবিক। এতদিন এই কুমোর সমাজকেই কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক বলে মনে করা হত। ফলে তাঁদের ক্ষেপে ওঠা আরও ন্যায়সঙ্গত বলেই মনে করছেন এখানকার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ফলে জিন্দলের আচরণে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে এখানকার নিরীহ মানুষদের। এরপর জিন্দল তো সরাসরি বলেই দিলেন, তাঁর জেতার জন্য কুমোর সমাজের ভোটের দরকারই নেই। শুনুন, কী বলছেন ভোটপ্রার্থী সাংসদ।
এর মধ্যে জিন্দলের দেহরক্ষীরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে শুধু যে দুর্ব্যবহারই করলেন তা নয়, যাঁরা অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন, তাঁদের রীতিমতো দূরে সরিয়ে দিলেন। এখন সবার নজর থাকবে, এই কেন্দ্রের ভোটের ফলাফলে। এমন ব্যবহার করার পর, মানুষ ঠিক কী জবাব দেন জিন্দলকে, সে দিকেই তাকিয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহল এবং তামাম কুরুক্ষেত্র। কুরুক্ষেত্র থেকে রণদীপ রোরের রিপোর্ট। জি মিডিয়া।
First Published: Sunday, March 16, 2014, 21:13