Last Updated: April 15, 2013 09:54

উনিশের চৌকাঠ টপকিয়ে আজ বাংলা চোদ্দশ সাল কুড়ির দোরগোড়া ছুঁল। সদ্য তারুণ্যের উচ্ছলতায় ভরপুর ১৪২০। গত বছরের জীর্ণ-পুরাতনকে ভাসিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার বার্তা নিয়ে এল বছরের প্রথম দিন। পয়লা বৈশাখ।
এমনিতে বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ক্যালেন্ডারের অস্তিত্ব হাতে গোনা কয়েকটা দিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তার মধ্যে বছরের প্রথম দিন মানে পয়লা বৈশাখ এখনও কিন্তু বেশ রসে বসেই বিরাজ করছে।
শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে বছরের প্রথম দিনটার ক্রেজ যে শুধুই উর্দ্ধগামী গড়িয়াহাট আর হাতিবাগানের চৈত্র সেলের মার্কেটে গোঁতাগুঁতি ভিড় তারই জানান দেয়। নিয়ম করে বছরের প্রথম দিনটায় নতুন পোষাকে কারও কার্পণ্য নেই। বহাল তবিয়তে বজায় আছে হালখাতার খাওয়া দাওয়া। দোকানে দোকানে লক্ষ্মী-গণেশ পুজো।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের পদ্ধতিতাটা কিঞ্চিৎ বদলিয়ে এসএমএস আর ফেসবুকে মুখাপেক্ষী। তবে মাছ আর সবজি বাজারে আগুন দামের ছোঁয়ায় হাত পুড়িয়ে আজ বাঙালি হেঁসেলে কিন্তু ভুরিভোজের আয়োজন। হেঁসেল যদি ক্লান্ত হয়, কুছ পরোয়া নেহি। রেস্তোরাঁ গুলো আজকের জন্য পুরো বাঙালি। কলকাতার এদিক ওদিক সেদিকের সব রেস্তোরাঁ একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাঙালি খাবারের পসোরা সাজিয়েছে।
পয়লা বৈশাখ মানে কিন্তু শুধু খাওয়া দাওয়া আর নতুন পোষাক নয়। নতুন বইও। নতুন গানও পিছিয়ে থাকে না।
১৪১৯-এর শেষ ভাগ টুকু বড়বেশি অশান্তির ঝড় তুলেছিল বাঙালির জীবনে। রাজনৈতিক, সামাজিক প্রেক্ষাপটে। সব অশুভকে দূরে সরিয়ে নতুন বছর সবার খুব ভাল কাটুক। শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা। সবার জন্য।
First Published: Monday, April 15, 2013, 09:54