Last Updated: October 18, 2013 18:47

আজ ফের জল ছাড়ল ডিভিসি। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন থেকে ছাড়া হয়েছে ১২ হাজার কিউসেক জল। গতকালও, দুই বাঁধ থেকে একই পরিমাণ জল ছেড়েছিল ডিভিসি। গালুড়ি থেকে ছাড়া হয়েছে সাতশো পঞ্চাশ কিউমেক জল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানিয়েই তারা জল ছেড়েছে বলে দাবি করেছে গালুড়ি ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হুগলির প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। খানাকুল ১ নম্বর ব্লক অফিসে ওই প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক, পুলিস সুপার, জেলা পরিষদের সভাপতি সহ হুগলির প্রশাসনিক কর্তারা। এ দিকে পূর্ণিমার ভরা কোটালে রূপনারায়ণের জল বাড়ায় খানাকুল ২ নম্বর ব্লকে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জল নতুন করে বেড়েছে। বন্যায় নষ্ট হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কাঁচাবাড়ি। খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের বন্যা পরিস্থিতির অবশ্য সামান্য উন্নতি হয়েছে। বানভাসি এলাকায় ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দুর্গতদের।
জল ছাড়া নিয়ে ডিভিসি রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেছে। ডিভিসি যাই বলুক, রাজ্য সরকার কিন্তু নিজেদের বক্তব্যেই অনড়। সেচমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির সাফ কথা, রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি।
মোটের ওপর রাজ্যের চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। হাওড়া ও হুগলির পরিস্থিতি একইরকম। জল নেমেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্লাবিত এলাকাগুলি থেকে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। পূর্ব মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শুক্রবার তমলুক ও নন্দকুমারের আরও কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাঁশকুড়ার কাছে কংসাবতীর ভাঙা বাঁধ মেরামতি না করা পর্যন্ত পরিস্থিতির বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার সকালে তমলুকে প্রশাসনিক বৈঠকেও বাঁধ মেরামতিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
First Published: Friday, October 18, 2013, 18:48