Last Updated: February 10, 2012 21:05

রাজ্য বিধানসভায় একটি নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে বিধানসভায় অধিবেশন বন্ধ থাকাকালীন বিধানসভা ভবনে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করা যাবে না। বিধানসভার সচিবের লেখা চিঠি অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা সব পরিষদীয় দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। স্পিকারের এই নির্দেশের জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রীতি অনুযায়ী বিধানসভা হল বিরোধী পরিষদীয় দলের কার্যালয়। বিধানসভায় অধিবেশন চলুক বা না চলুক সব সময় সেখান থেকেই কাজ করেন বিরোধীরা। সরকার পক্ষের দফতর রাজ্য সচিবালয়। সেখান থেকে কাজ করেন তাঁরা। এই রীতি অনুযায়ী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র অধিকাংশ সময়ই সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধানসভার মিডিয়া সেন্টারে। বস্তুত রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পরিষদীয় রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষের গুরুত্ব ও প্রাধান্যের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু এবার তাঁর দল, তৃণমূল কংগ্রসের টিকিটে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে অধ্যক্ষের আসন অলঙ্কৃত করা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফরমানের জেরে অধিবেশন না চললে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকের পথ রুদ্ধ হল।

শুক্রবার স্পিকারের নির্দেশে বিধানসভার সচিব সূর্যকান্ত মিশ্রকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যে চিঠিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বুধবার তাঁকে সাংবাদিক বৈঠকের জন্য যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তার থেকে বেশি সময় নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। যার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। স্পিকারের নির্দেশে সব রাজনৈতিক দলকে জানানো হচ্ছে, এখন থেকে বিধানসভা না চলাকালীন বিধানসভার মিডিয়া সেন্টারে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করা যাবে না।
স্বাভাবিক ভাবেই স্পিকারের এই এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পশ্চিমবঙ্গের পরিষদীয় রাজনীতিতে নজিরবিহীন এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্য রাজনৈতিক দলও। বামেদের বক্তব্য, বিধানসভা ছাড়া বিরোধীদের অন্য কোনও জায়গা না থাকায় স্পিকারের এই নির্দেশ আদতে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধেরই সামিল। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন এ বিষয়ে স্পিকারকে একটি চিঠি পাঠাবেন তিনি। সূর্যকান্ত মিশ্রর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনার ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
First Published: Saturday, February 11, 2012, 12:23