Last Updated: May 27, 2014 19:02

কী কারণে শিক্ষার মত গুরুত্বপুর্ণ দফতর থেকে ব্রাত্য বসুকে সরতে হল তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা কানাঘুষো । অনেকের মতে টেটের ধাক্কা লেগেছে শিক্ষামন্ত্রীর ঘরে। কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার চেষ্টাও তাঁর কাল হয়েছে। ব্রাত্য বসু নিজে অবশ্য বলছেন, তিনি নাকি নিজে থেকেই সরে যেতে চেয়েছিলেন।
সুবোধ সরকার বা অরিন্দম শীলের মত বামপন্থীদের নির্বাচনের আগে দলের পাশে দাঁড় করিয়ে বাহবা কুড়িয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। বাড়তি সংযোজন ছিল নিজের এলাকা থেকে সৌগত রায়কে বড় মার্জিনে লিড দেওয়া । বালুরঘাটের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের প্রচারে শিল্পী বুদ্ধিজীবীদের একসঙ্গে করার পিছনেও ব্রাত্য বসুর বড় হাত ছিল। কিন্তু গুডবুকে থাকা এরকম এক মন্ত্রীর কেন হঠাত্ দফতর বদল হল। ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ব্রাত্য বসু সে অর্থে দলীয় কর্মী না হওয়া সত্বেও নির্বাচনে জিতে সরাসরি শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব পান। তাই ব্রাত্য বসুকে দলের অনেক নেতাই ভাল নজরে দেখেননি। প্রাথমিকে টেট কেলেঙ্কারির পর পরিস্থিতি বদলায়। এই কেলেঙ্কারিতে সরকারের ভাবমূর্তি ধাক্কা খায় । তার দায় পড়ে ব্রাত্য বসুর কাঁধে। লোকসভা নির্বাচনের আগে রীতিমত দিন ঘোষণা করেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের টেট পরীক্ষা না নিতে পারার জন্য অনেকেই ব্রাত্য বসুকে দায়ী করেন।
সম্প্রতি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করতে চেয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভর্তিতে নেতা - মন্ত্রী কিংবা ছাত্রপরিষদের প্রভাব খাটানোর জায়গায় সমস্যা তৈরি হত। দলে তাই তৈরি হয়েছিল ক্ষোভ। এইসব কারণেই কি সরতে হল তাঁকে ? ব্রাত্য বসু অবশ্য নিজে বলছেন তিনি নিজেই নাকি সরতে চেয়েছিলেন।
দলের অন্দরে ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল। পাইয়ে দেওয়ার নানা দাবি অগ্রাহ্য করছিলেন তিনি। অবস্থা এই পর্যায়ে পৌছায় যে ব্রাত্য বসু নাকি দলের শিক্ষা সেলের সভাপতি পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে চান। এই অবস্থায় বদলে গেল তাঁর দফতর। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে দু হাত তুলে সমর্থন করেছিলেন বহু বুদ্ধিজীবী। এঁদের বেশ কয়েকজন এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন। প্রশ্ন উঠছে সেই তালিকায় কি ব্রাত্য বসুও ঢুকে পড়তে চলেছেন ?
First Published: Wednesday, May 28, 2014, 08:55