Last Updated: May 19, 2014 10:20

ইস্তফাপত্র কি প্রত্যাহার করে নেবেন নীতীশকুমার? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই রবিবার দিনভর উত্তপ্ত রইল বিহারের রাজনীতি। যদিও দিনের শেষে এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আজ পর্যন্ত সময় নিয়েছেন নীতীশ কুমার। আজ ফের জেডিইউ পরিষদীয় দলের বৈঠক। অন্যদিকে রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছে বিহার বিজেপির প্রতিনিধি দল।ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পরেই শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। তারপর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিহারের রাজনীতি। রবিবার সকালে রটে যায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শরদ যাদব। খবর ছড়াতেই রাস্তায় নেমে পড়েন জেডিইউ সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। নীতীশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হবে বলে দাবি তোলেন তাঁরা। নতুন দলনেতা বাছতে বিকেলে বসে জেডিইউ পরিষদীয় দলের বৈঠক। এই বৈঠকেও দলীয় বিধায়করা দাবি তোলেন, কোনও নেতা বদল নয়, মুখ্যমন্ত্রী থাকুন নীতীশকুমার। এই দাবির মুখে খানিকটা পিছু হঠেন নীতীশও। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় নিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। রবিবার সুশীল মোদীর নেতৃত্বে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিহারে রাজনৈতিক অস্থিরতার অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের কাছে তাদের আর্জি, আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা যাচাই হোক, তারপর সরকার গড়তে ডাকা হোক জেডিইউকে।
নীতীশকুমারের পদত্যাগকে কটাক্ষ করেছেন লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এনডিএ-তে যোগ দেওয়া এলজেপি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানও।
তবে এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে আরজেডি। লালুপ্রসাদ যাদবের দলের তিন বিধায়ক দল ছেড়ে নীতীশকুমারের জেডিইউকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়ায় জেডিইউ-এর সঙ্গে তলে তলে হাত মেলাচ্ছেন লালুও। শরদ যাদবের সঙ্গে তাঁর একপ্রস্থ কথাও হয়েছে। যদিও আরজেডি সুপ্রিমো এই খবর অস্বীকার করেছেন।
সোমবার ফের বৈঠকে বসছে জেডিইউর পরিষদীয় দল। এই অবস্থায় বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
First Published: Monday, May 19, 2014, 10:20