বিশ্বের প্রথম ৮৫ জন ধনকুবেরের হাতে রয়েছে পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদ

বিশ্বের প্রথম ৮৫ জন ধনকুবেরের হাতে রয়েছে পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদ

বিশ্বের প্রথম ৮৫ জন ধনকুবেরের হাতে রয়েছে পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদ বৈষম্যের পৃথিবীর অর্ধেকটার মালিক মাত্র ৮৫ জন। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সারা বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষের অর্ধেকের মোট অর্থ সম্পদের সমান অর্থ রয়েছে বিশ্বের প্রথম ৮৫ জন ধনকুবেরের কাছে।

অক্সফ্যাম নামক এক গোষ্ঠীর করা `ওয়ার্কিং ফর দ্য ফিউ` সমীক্ষার রিপোর্টে সোমবার প্রকাশির হয়েছে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক বৈষম্যের এই ভয়াবহ চিত্র। দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের পূর্বে এই খবর প্রকাশিত হওয়ায় অনুমান করা হচ্ছে এই সম্মেলনেও উঠে আসবে এই বৈষম্যের বিষয়টি।

যে দেশগুলির উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ৩০টি দেশের মধ্যে ২৯টিতেই ১৯৭০ সালের পর কমেছে বিত্তশালীদের কর। ফলে তাদের হাতে আরও বেশি অর্থ জমা হয়েছে। বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ গুলিতে সময়ের সঙ্গে আরও প্রকট হয়েছে এই বৈষম্য। দেশের অর্থনীতি উর্ধমূখী হলেও একশ্রেণীর গুটিকয়েক লোকের হাতে জমা হয়েছে সম্পদ, অন্যদিকে বেশিরভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে।

অক্সফ্যামের রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ২৫ বছরে পৃথিবীর ১% পরিবারের হাতে মোট সম্পদের ৪৬% জমা হয়েছে। এই বিপুল অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্য সারা বিশ্বেই সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাধারণের মানুষের মনে ক্ষোভ জমা হচ্ছে। যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে বৃহত্তর বিক্ষোভের রূপে। থাইল্যান্ড, ব্রাজিল এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পথেও আছড়ে পড়ছে বঞ্চিত জনসাধারণের ক্ষোভ।

এই ভাবে চলতে থাকলে ২১ শতকে আরকিছুদিনের মধ্যে পৃথিবীর মোট সম্পদের বেশিরভাগটা মুষ্টিমেয় কিছু ধনকুবেরের হাতে জমা হবে যাঁদের সংখ্যা ট্রেনের একটা বগিকেও ভরাতে পারবে না।

ভারতে গত এক যুগে ধনকুবেরদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু অন্যদিকে এদেশে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গরীব মানুষের সংখ্যাও। ব্যাপক অর্থনৈতিক বৈষম্যের অন্যতম পীঠস্থান হিসাবে ভারতকে চিহ্নিত করেছে অক্সফ্যামের রিপোর্ট।

রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বিশ্ব অর্থনীতির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করে ধনকুবেররা এমন এক পৃথিবী তৈরি করেছে যেখানে বিশ্বের মোট সম্পদের অর্ধেকটাই মাত্র ৮৫ জনের হাতে রয়েছে।




First Published: Tuesday, January 21, 2014, 16:05


comments powered by Disqus