Last Updated: December 7, 2013 10:06

পেস্ট কন্ট্রোল কর্মী জ্যোতির্ময় নন্দীর পাশেই দাঁড়ালেন সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে যে পদ্ধতিতে জ্যোতির্ময় পোকামাকড় নিধনের কাজ করতেন তা অনেক পুরনো পদ্ধতি। এরমধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই বলেই দাবি তাদের। কেরোসিনের সঙ্গে কিছু রাসায়নিক মিশিয়েই কীটনাশক তৈরির রেওয়াজ চলে আসছে বহুদিন ধরেই। স্বারষ্ট্রসচিব কেন তার মধ্যে নাশকতার গন্ধ খুঁজে পেলেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
শুক্রবারও মহাকরণে পেস্ট কন্ট্রোলের কাজে গিয়েছিলেন পেস্ট কন্ট্রোল কর্মী জ্যোতির্ময় নন্দি। কাজ সেরে যথারীতি বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সন্ধের দিকে মহাকরণে চারতলার জি ব্লকে হোম পাবলিকেশন বিভাগের ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি কেরোসিন ভর্তি ড্রাম। ঘরের নথিপত্রে কেরোসিন ছেটানো ছিল বলেঅভিযোগ ওঠে। সেদিনই স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছিলেন, মহাকরণে রয়ে যাওয়া নথি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ছাপোষা জ্যোতির্ময়ের বিরুদ্ধে ওঠে নাশকতার অভিযোগ। সত্যিই কী নাশকতার অভিসন্ধি ছিল জ্যোতির্ময়ের? সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞরা কিন্তু নাশকতার তত্ত্ব একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের মতে কেরোসিন তেলের সঙ্গে কিছু রাসায়নিক মিশিয়ে পোকামকড় নিধনের পদ্ধতি বহু পুরনো। জ্যোতির্ময় নন্দীর কাজে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই বলেই দাবি তাদের।
সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের এই যুক্তির পর উঠে আসছে বেশকিছু প্রশ্ন। কেরোসিন দিয়ে পোকামকড় নিধন যদি বহু পুরনো ও চেনা পদ্ধতি হয়ে থাকে, তবে তারমধ্যে হঠাত্ করে কী অস্বাভাবিকতা দেখলেন স্বরাষ্ট্র সচিব। কেনই বা তিনি সামনে আনলেন নাশকতার তত্ত্ব। উত্তর অধরা।
First Published: Saturday, December 7, 2013, 10:06