Last Updated: July 10, 2014 16:23

পাড়ুই, লাভপুরের মত বামনগাছি কাণ্ডেও সরাসরি জড়িয়ে গেল এক তৃণমূল নেতার নাম। বেলেঘাটা এলাকার ওই নেতার নাম শিশির মুখার্জি। শ্যামলের পূর্ব পরিচিত এই তৃণমূল নেতা। নিজের পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারাপীঠের হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়ে শ্যামলের সঙ্গে একই ঘরে শিশিরও ছিলেন। শুধু তাই নয়, শ্যামলকে নেপাল অথবা ভুটানে পাঠিয়ে দেওয়ার ছকও কষেছিলেন এই তৃণমূল নেতা।
তবে এতকিছুর পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? মুখে কুলুপ পুলিসের। বামনগাছিতে সৌরভ খুনের মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারের মাথায় শাসদ দলের এক নেতার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল গোড়াতেই। সেই শ্যামল গ্রেফতার পরেই সত্যিটা বেড়িয়ে । পুলিস সূত্রে খবর, খুনের পর শ্যামল বেলেঘাটা এলাকার তৃণমূল নেতা শিশির মুখার্জির আশ্রয়েই ছিল। তারপর এই তৃণমূল নেতাই শ্যামল ও তার শাগরেদ রতনকে নিয়ে তারাপীঠে যান। নিজের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে শ্যামলদের সঙ্গে একই ঘরে শিশির ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই হোটেলের ম্যানেজার। তাঁর বক্তব্য, সেদিন রাতে একই সঙ্গে হোটেল ছাড়েন ওই তিনজন। হোটেলের খাতায় রতনের নাম লেখা হয় তারক কুণ্ডু। আর শ্যামল ছিল কার্তিক মণ্ডল নামে।
রামপুরহাট স্টেশনে ধরা পড়ে শ্যামল ও রতন। তা হলে শিশিরকেও ধরা গেল না কেন? শ্যামলের সাগরেদ রতন জানিয়েছে, টিকিট কাটতে গিয়েছিল শিশির। বেগতিক দেখে সেখান থেকেই চম্পট দেয় সে। কিন্তু শ্যামল ও রতনকে যেখান থেকে গ্রেফতার করছে পুলিস, তার থেকে পঞ্চাশ মিটারেরও কম দূরত্বে শিশির থাকলেও তাকে গ্রেফতার করতে তেমন ততপরতা দেখানো হয়নি। যদিও এবিষয়ে অবশ্য কিছুই বলতে চায়নি পুলিস। জানা গিয়েছে, তারাপীঠ থেকে পালিয়ে জলপাইগুড়িতে শিশিরেরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল শ্যামলদের। এরপর বর্ডার পেরিয়ে নেপাল অথবা ভূটানে গা ঢাকা দিত তারা। আর এই পুরো ছকটা কষেছিলেন তৃণমূল নেতা শিশির মুখার্জিই। অর্থাত পাড়ুই-লাভপুরের মত বামনগাছিকাণ্ডেও অস্বস্তি এড়াতে পারলনা তৃণমূল। প্রশ্ন উঠল পুলিসের ভূমিকা নিয়েও।
First Published: Thursday, July 10, 2014, 16:23